সংক্ষিপ্ত
প্রতিবারের মতো এবারও প্রথম ধাক্কাটা আসে পঞ্জশিরের কাছে। তালিবানরা গোটা আফগানিস্তান দখল করলেও পঞ্জশিরের মধ্যে দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। আর এবার সেই পথে হেঁটেই পঞ্জশিরের নিকটবর্তী তিন জেলাও তালিবান শাসন মুক্ত করা হয়েছে।
২০ বছর পর আফগানিস্তান দখল করার পর বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছিল তালিবানরা। আর তাদের সেই উল্লাস একটু হলেও থমকাল পাঁচ দিনের মাথায়। পঞ্জশিরের পর বাগলান প্রদেশ। তালিবানদের উপর প্রত্যাঘাত বিরোধী জোটের। আর তার ফলে ওই প্রদেশের মোট তিন জেলা বানি, পল-ই-হিসার ও দে সালাহ তালিবানদের দখলমুক্ত করল প্রতিরোধ বাহিনী। একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের ফলে নিহত হয়েছে একাধিক তালিবান যোদ্ধা। জখমও হয়েছে বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যেই এই সংঘর্ষের একাধিক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যদিও এই রিপোর্ট নিয়ে মতভেদ দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তালিবান ও বিরোধী জোটের সংঘর্ষের বিষয়টি কতটা সঠিক তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের মনেই। তবে প্রতিবারের মতো এবারও প্রথম ধাক্কাটা আসে পঞ্জশিরের কাছে। তালিবানরা গোটা আফগানিস্তান দখল করলেও পঞ্জশিরের মধ্যে দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। আর এবার সেই পথে হেঁটেই পঞ্জশিরের নিকটবর্তী তিন জেলাও তালিবান শাসন মুক্ত করেছে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহর অনুগত বাহিনী।
আরও পড়ুন- খসে গেল 'ভাল তালিবান'এর মুখোশ - হাত-চোখ বেঁধে গুলি করে 'ক্ষমা' পুলিশ কর্তাকে, দেখুন
তালিবানরা কাবুল দখলের পর সালেহ জানিয়েছিলেন, তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বুধবার মধ্য-উত্তরাংশের পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকার-সহ বেশ কিছু এলাকা ছিনিয়ে নেয় তালিবান বিরোধী বাহিনী। ইতিমধ্যেই সালেহর সঙ্গে পঞ্জশির প্রদেশের নেতা আহমেদ মাসুদ হাত মিলিয়েছেন। আফগানিস্তানের অন্যতম তালিবান বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত আহমেদ শাহ মাসুদের পুত্র তিনি।
আরও পড়ুন- আপন মেয়ের চোখ উপড়ে নিতেও কসুর করেনি তালিবানি বাবা, পুলিশ হতে চেয়েছিল খাতেরা হাশেমি
১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানের একাধিক প্রদেশ দখল করে তালিবানরা। আর তারপর কাবুলে পৌঁছে ক্ষমতা দখলের বৃত্ত সম্পন্ন করে তারা। এদিকে তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর থেকেই আতঙ্ক শুরু হয়ে যায় গোটা দেশে। দেশ ছেড়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টায় বিমানবন্দরে ভিড় করেন বহু মানুষ। কখনও বিমানের চাকার সঙ্গে নিজেদের বেঁধে নিয়ে আবার কখনও বিমানের মাথার উপর চড়ে বসেন অনেকেই। এই পরিস্থিতির মধ্যে এবার আশার আলো দেখাল বাগলান প্রদেশ।