সংক্ষিপ্ত

কান্দাহারের ভারতীয় দূতাবাস থেকে সরানো হল ভারতীয় কর্মীদের। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।

আফগানিস্তানের ৮০ শতাংশ দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। এমন রিপোর্ট সামনে আসার পরেই কান্দাহারের ভারতীয় দূতাবাস থেকে সরানো হল ভারতীয় কর্মীদের। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। প্রায় ৫০ জন কর্মীকে ফিরিয়ে আনছে বিদেশমন্ত্রক বলে খবর। বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তাঁদের সরানো হয়েছে কান্দাহারের দূতাবাস থেকে। 

 

রিপোর্ট জানাচ্ছে কান্দাহারের পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। সেখানে ভারতীয় দূতাবাসে যে কোনও সময় হামলা চালাতে পারে তালিবানরা। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের সরানো হল। তবে ভারতীয় দূতাবাসের আপদকালীন পরিষেবা চালু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

এর আগে, আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে তালিবানরাই। শুক্রবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে এমনটাই ঘোষণা করে তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার। প্রায় দুই দশক ধরে লড়াই চলার পর, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিদেশি সবকটি সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের মাটি থেকে সরে যাচ্ছে। ফলে, আফগানিস্তানে আরও অনেক নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ তালিবানদের হাতে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারমধ্যেই এল এই ঘোষণা।

 

৬ জুন তারিখেই পেন্টাগন থেকে মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছিল, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সাতটি মার্কিন সেনাঘাঁটি আফগান সুরক্ষা বাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে প্রায় এক হাজার সি-১ যুদ্ধবিমান এবং আরও নানাবিধ সামরিক সরঞ্জাম দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

 

গত এপ্রিল মাসেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আফগানিস্তানথেকে সমস্ত মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় আফগানিস্তানে সরকারিভাবে ২,৫০০ মার্কিন সেনা এবং ১৬,০০০ বেসরকারী ঠিকাদার সেনা ছিল। তবে, আফগানিস্তানে এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সের প্রায় ১,০০০ কর্মী থেকে গিয়েছেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এরা সরকারি তালিকাভুক্ত নয়।