সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে হামুন। উপকূলবর্তী ১০টি জেলা থেকে ১৫ জন মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড় হামুনের গন্তব্য বাংলাদেশে। তেমনই বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে। এদিন দফায় দফায় বাংলাদেশে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকও হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ মন্ত্রী মহম্মদ এনামুর রহমান।

বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে হামুন। উপকূলবর্তী ১০টি জেলা থেকে ১৫ জন মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রক গোটা পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে বরিশাল ও চট্টোগ্রামের দিকে যাবে। ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে। এদিন রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঝড়ের প্রভাব থাকবে। রাত ৮টা থেকে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বার হতে নিষেধ করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। তবে এটি উপকূলে আঘাত করার সময় গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। সমুদ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকাকে প্লাবিত করতে পারে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উপকূলীয় দ্বীপগুলো জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল এবং চট্টগ্রামের মাঝ দিয়ে মেঘনা নদীর মোহনা ধরে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করতে পারে। এর সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা আছে।