সংক্ষিপ্ত
দুর্গা মন্দিরে মন্দির কর্তৃপক্ষ গরুর অন্ডকোষ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই মন্দির কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই এই তদন্ত শুরু করে তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ ।
মহাসপ্তমীতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের এক দুর্গামন্দিরে ৪ জিহাদি গোমাংস ছুঁড়ে মারা হয়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রাত দুটো নাগাদ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও দুর্গা মন্দিরে মন্দির কর্তৃপক্ষ গরুর অন্ডকোষ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই মন্দির কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই এই তদন্ত শুরু করে তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ ।
শেষ পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ ইসলামি জিহাদিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । রিপন হোসেন, ইব্রাহিম, মোহাম্মদ রাকিব ও কসাই মোহম্মদ সুজন। এরা সকলেই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জাজিরা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশি জেরায় এরা স্বীকার করে যে এরা এই কাজ করেছে। ভোররাতে মন্দিরের প্রধান দরজা ও মন্দিরের ভিতরে গোমাংস ছুঁড়ে মারে এরা।
সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য এদের সনাক্ত করে পুলিশ। এরপর কসাই-সহ এই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এই ধর্মবিদ্বেশী কাজ করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে আর এমন কোনও কাজ না করে তার জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে রাকিব ও রিপন অটোরিকশায় চড়ে দূর্গামণ্ডপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গরুর দুটি অন্ডকোষ ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় । তার মধ্যে ১টি অন্ডকোষ মন্দিরে ও ১ টি অন্ডকোষ মন্দিরের গেটে পড়ে । পরে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে এদিন ভোর ৪ টা নাগাদ একজন কসাই ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ । ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন,'এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। এই ধরনের ঘটনা যদি কেউ ভবিষ্যতে না ঘটায় বা জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ।