সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে গণ পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম বাস ও লঞ্চ। সেই তুলনায় ট্রেনের ব্যবহার কিছুটা কম। কারণ, বাংলাদেশের সর্বত্র রেলপথ চালু করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দু'টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০। সোমবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বিকেল সোয়া তিনটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকার্য। বাংলাদেশের রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরগঞ্জ থেকে এগারোসিন্ধুগামী গোধূলি ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হওয়া মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সিগন্যালের ভুলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কারণ, একই লাইনে দু'টি ট্রেন মুখোমুখি চলে আসার কথা নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভৈরব থেকে ঢাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেনটি। উল্টোদিক থেকে একই লাইনে চলে আসা মালবাহী ট্রেনটি ঢাকার দিক থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীবাহী ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন ছেড়ে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। ভৈরব স্টেশনের আউটার পয়েন্টে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনটির কয়েকটি কামরা লাইনচ্যূত হয়। সংঘর্ষের অভিঘাতে কয়েকটি কামরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকার্য শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলি সরানোর কাজ চালানো হচ্ছে। লাইনচ্যূত কামরাগুলির তলায় কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, সেটা খুঁজে দেখা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকার্যে যত দেরি হবে ততই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ব্যক্তিদের মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়বে। সেই কারণেই যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারকার্য শেষ করতে চাইছেন প্রশাসনের কর্তারা।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভৈরবে এই দুর্ঘটনার জেরে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালির রেল যোগাযোগ আপাতত বিচ্ছিন্ন। উদ্ধারকার্য শেষ হওয়ার পর ফের এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
এই দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছে দমকলের ৯টি বিভাগ। এছাড়া রেল পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আধিকারিকরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। হতাহতদের আর্থিক সাহায্য করা হবে কি না সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে। জয়েন করুন- https://www.whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D
আরও পড়ুন-
সপ্তমীতে দুর্গামন্দিরে ছোড়া হল গোমাংস, ঘটনায় গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশের জিহাদি
বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে আর ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না দীর্ঘদিন, বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় দূতাবাস