সংক্ষিপ্ত

বাংলদেশে পদ্মাসেতুর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেল বাস। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছএ ১৯ জনের। আহত ৩০।

 

বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের, আহতের সংখ্যা ৩০ । স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে শিবচরের কাছে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুতগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়েছিলে। এমাদ পরিবহন সংস্থার বাসটি ঢাকা আসছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। তাতেই এই দুর্ঘটনা।

মাদারিপুরের জেলা শাসক রবিমা খাতুল জানিয়েছেন ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, জীবন অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল , কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে অনেকেইরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও মনে করছে প্রশাসন। জেলা শাসক জানিয়েছে শিবচর ও ঢাকার সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খুলনা থেকে ছেড়েছিল এমাদ পরিবহন সংস্থার বাসটি। গন্তব্য ছিল ঢাকা। বাসের অধিকাংশ যাত্রী ছিল মাদারিপুরের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, বাসটি তীব্র গতিতে যাচ্ছিল। বাসের একটি চাকা পাংচার হয়ে যায়। তারপরই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিড ডিফেন্সের কর্মকর্তা শিপলু আহমেদ বলেন, বাসটি খাদে পড়ে যাওয়ার সময়ই বাসের সামনের অংশ ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসটি খাদের ৩০ ফুট নিচে পড়ে গিয়েছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা পিটিআইকে জানিয়েছেন দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঢাকার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার।

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর এটা এক্সপ্রেসওয়ের সবথেকে বড় দুর্ঘটনা। প্রযুক্তগত সমস্যা ও দ্রুতগতির কারণে এই বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। আহতদেরও উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ সূত্রের খবর ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাত্র দুই দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে সূত্রের খবর তিন মাস ধরেই এই বাসটি কোনও রকম ছাড়পত্র ছাড়াই চলছিল। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি সূত্রের খবর ঢাকা মেট্রোর অনুমোদন ছিল। কিন্তু গাড়ির ফিটনেস ক্লায়ারেন্স এই বছরই জানুয়ারিতে শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে আর কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

পুরনো ও খারাপ , রক্ষণাবেক্ষণ যান চলাচলের জন্য বাংলাদেশে প্রতিবছরই প্রচুর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে এই দেশে। বাংলাদেশের প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৯.৯৫১ জনের। যার অধিকাংশই বেপরোয়া যান চলাচলের কারণে হয়েছে।