সংক্ষিপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে খাবার দোকানের মেনুতে গোমাংস না থাকায় কী ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে মুসলিম ক্রেতারা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশে উৎপাত বাড়ছে মুসলিম জেহাদিদের। তাতে সায় দিচ্ছে সংখ্যাগুরু মুলসিমরা। যার জ্বলন্ত উদাহরণ বাংলাদেশের সব হোটেল আর রেস্তোরাঁতে গরুর মাংস বিক্রির ফতেয়া। যা নিয়ে সম্প্রতি আন্দোলন পর্যন্ত হয়েছে। যারা গরুর মাংস বিক্রি করবে না তাদের হোটেল বা রেস্তোরাঁ বয়কট করার ডাকও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও স্বস্তি নেই। মেনুতে গরুর মাংস না থাকায় এবার রীতিমত আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিচ্ছে বাংলাদেশী গ্রাহকরা। যার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভয়েস অব বাংলাদেশি হিন্দাস নামে এক এক্স ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে খাবার দোকানের মেনুতে গোমাংস না থাকায় কী ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে মুসলিম ক্রেতারা। তিনি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, 'ইসলামপন্থীরা #ঢাকা এলাকায় কয়েকটি হোটেল ও রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করেছে। তারা মালিককে গরুর মাংস মেন্যু রাখার জন্য হুমকি দিচ্ছিল।
#ঢাকা শহরে, অনেক হোটেল এবং রেস্তোরাঁ তাদের মেনুতে গরুর মাংস রাখে না যাতে হিন্দুরা সেখানে খেতে পারে।
তারা নো বিফ রেস্তোরাঁ বয়কট করছে কারণ তাদের মতে #বাংলাদেশে নো গরুর মাংস বিজেপির এজেন্ডা।' ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যেসব খাবার দোকানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে না সেখানে গিয়ে মুসলিম জেহাদিরা রীতিমত বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। দেখুন সেই ভিডিওঃ
এই ভিডিওর সত্যতা এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যাচাই করেনি।
শেখ হাসিনার আমলে এমন উৎপাতের ঘটনা ঘটত না। অনেকটাই শান্ত হয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলত সেই দেশের সংখ্যাগুরু মুলসিমরা। তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ছবি স্পষ্ট হত। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পরই অনৈক্যের ছবি স্পষ্ট হয়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এজাতীয় ছবি ভাইরাল হওয়ায় অনেকেই বাংলাদেশে গরু রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। বাংলাদেশের অনেক হোলেট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে হিন্দুরা খেতে আসেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলিতে গরুর মাংস বিক্রি করা হয় না। কিন্তু অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সরকারের আমলে সব হোটেলেই গরুর মাংস বিক্রি ও গরুর মাংসর পদ রাখার ফতোয়া জারি করেছে জেহাদিরা।