সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশ দেশে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের রিপোর্ট করা হয়েছে ৯৯.৯৯৪ টিরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১৩৪। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

 

রবিবার ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছেন বাংলাদেশ দেশে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের রিপোর্ট করা হয়েছে ৯৯.৯৯৪ টিরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১৩৪। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতর জানিয়েছে, শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই ডেঙ্গু অকান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৭৮৫ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শহরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ১৩৪৯ জন। এই বছর এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৭৬ জনের। যা বিগত বছরগুলির তুলনা অনেক বেশি। ২০০ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ হয়েছিল। সেবছর মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের।

তবে বেসরকারি হিসেব বলছে অন্য কথা । ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ৭৫৮২। বেসরকারি হিসেবে অনুযায়ী ঢাকাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। ঢাকার বাইকে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ৪০৫০।

বিশেষজ্ঞদের মতে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসকে ডেঙ্গুর জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপ থাকে। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের মতে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে এডিস মশার জন্মগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের হাওয়া অফিস জানিয়েছে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। যা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারে। তবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষকে এখনও সচেতন করে দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আগামী মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে তাপমাত্রা ও আদ্রতার বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর এই মারাত্মক বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী।

এর আগেও ডেঙ্গে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। ২০১৯ সালে মৃতের সংখ্যা ছিব ১৭৯ জন। ২০২০ সালে মাত্র ৭ জন মারা গিয়েছিল। ২০২১ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৫ জন। আর ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছ্ল ২৮১ জনের। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এবছর সেদেশের ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৬৩.৫ শতাংশ হলেন পুরুষ। এদিকে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। এদিকে আক্রান্ত রোগীর অর্ধেকই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী। এদিকে এতকিছুর পরও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ডেঙ্গু পরিস্থিতি জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর্যায়ে যায়নি। তাঁর কথায়, সতর্ক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এদিকে প্রচুর সংখ্যক শিশুও এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে সেদেশে। এই আবহে স্কুলগুলিতে মশা নিধনের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন বাংলাদেশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।