- Home
- World News
- Bangladesh News
- 'বাংলাদেশ গণ আন্দোলন-হত্যাকাণ্ডে ব্যক্তিগত ভাবে অনুতপ্ত নই', মুখ খুললেন দেশত্যাগী শেখ হাসিনা
'বাংলাদেশ গণ আন্দোলন-হত্যাকাণ্ডে ব্যক্তিগত ভাবে অনুতপ্ত নই', মুখ খুললেন দেশত্যাগী শেখ হাসিনা
Sheikh Hasina On Bangladesh: গত বছর ৫ অগাস্ট (২০২৪) কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পড়শী বাংলাদেশ। তারপর থেকেই দেশ ছেড়ে ভারতে নির্বাসিত রয়েছেন সেদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কী বলছেন তিনি? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

বাংলাদেশের ঘটনায় অনুতপ্ত নন শেখ হাসিনা
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট কোটা বিরোধী আন্দোলনের পর থেকে এক নিমেষে গণ বিক্ষোভের জেরে বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এমনকি এখনও বাংলাদেশে অব্যাহত নৈরাজ্য। ২০২৫ সাল শেষ হতে গেলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময়প্রভুর জামিন। পদ্মাপারের অশান্তি নিয়ে এবার মুখ খুললেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ই-মেইল মারফত তিনটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার কাছে লিখিত সাক্ষাৎকার দেন শেখ হাসিনা। সেখানেই বাংলাদেশের গণ আন্দোলন, ছাত্র বিক্ষোভের জেরে মৃত্যু, নির্বাচন সহ তার দেশে ফেরা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। এমনকি সেদিনের ঘটনায় তিনি যে মোটেও ব্যক্তিগত ভাবে অনুতপ্ত নন সে কথাও এদিন স্পষ্ট করে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
গণ আন্দোলন নিয়ে কী বললেন শেখ হাসিনা?
দিন যত যাচ্ছে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। উঠে এসেছে বহু অভিযোগ। পদ্মাপাড়ের এই অরাজকতার আবহে অন্তর্বর্তী সরকারের শাসন ও তিনি দেশে ফিরে যাবেন কীনা তা নিয়ে মুখ খুলেছেন হাসিনা। বলেন, ‘’‘আমি আমাদের জাতি হিসেবে হারানো প্রতিটি সন্তান, ভাই-বোন, আত্মীয় ও বন্ধুর জন্য শোক প্রকাশ করি এবং তা করতে থাকব।’' তবে তিনি যে কোনও ব্যক্তিগত দায় স্বীকার করেন না, আর ওই আন্দোলন ছিল একটি সহিংস বিদ্রোহ। সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
কী দাবি শেখ হাসিনার?
এই বিষয়ে শেখ হাসিনার আরও দাবি যে, বেশিসংখ্যক প্রাণহানির জন্য দায়ী ছিল মাঠপর্যায়ে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর শৃঙ্খলা ভেঙে পড়া। তিনি আরও বলেন, ‘’একজন নেতা হিসেবে আমি অবশ্যই সামগ্রিক দায় স্বীকার করি, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, আমি নিজে নিরাপত্তা বাহিনীকে জনতার ওপর গুলি চালাতে বলেছিলাম, এটা ঠিক নয়।''
এখনও বিচারাধীন শেখ হাসিনা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লিগের সহযোগীদের। মামলায় হাসিনাকে ছাত্র আন্দোলনের সময় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করা হয়েছে। অভিযোগ, শেখ হাসিনা ছাত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফলে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হন। যদিও সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা দাবি করেন যে, ‘’ছাত্র আন্দোলনের সময়ের ১ হাজার ৪০০ মৃত্যুর সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত। তাঁর ভাষায়, ‘এই সংখ্যা ট্রাইব্যুনালের প্রচারণার কাজে লাগে, কিন্তু বাস্তবে তা বাড়িয়ে বলা।''
পাকিস্তান হওয়ার পথে বাংলাদেশ!
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার পর ইউনূস সরকারের বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের আস্ফালন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সখ্যতা যে নতুন করে বেড়ে উঠেছে সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। ১৯৪৭ থেকে ৭১ এর পাক অত্যাচার, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে মিত্র ভারত এখন শত্রু দেশ! জিন্নার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ কি এবার তবে পূর্ব পাকিস্তান হওয়ার পথে? এটাই এখন আন্তর্জাতিক মহলের সবথেকে বড় প্রশ্ন।