সংক্ষিপ্ত
ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল মৎস্য আধিকারিক।
সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও ইলিশের ট্রাক আসছে বাংলায়। বলা যেতেই পারে দফায় দফায় ইলিশ আসছে বাংলাদেশ থেকে। শনিবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিতীয় দফায় ২৫ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ রফতানি হল ভরতে। এর আগে ২০টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠান হল। যার কারণে বাজারে পদ্মার ইলিশ দেখা যাচ্ছে।
ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল মৎস্য আধিকারিক। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার বা ১১৮০ টাকা। ভারতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২৪০০ টন ও একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে বলে কথা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রক ৪৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে দুই দিনে মোট ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির জন্য অনুমতি পত্র প্রদান করা হয়েছে।
ভারতের ফিস ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন- জানিয়েছে, উৎসবের জন্য প্রত্যেক বছরই ১০ সেপ্টেম্বররের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ আসে। কিন্তু চলতি বছর এখনও বাংলাদেশ ইলিশ পাঠায়নি ভারতে। উৎসবের মরশুমে রফতানি বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এবার আচমকাই সেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করছে বাংলাদেশ সরকার। শনিবার বাংলাদেশের অ বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে. গুর্গাপুজোর আগে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রক আরও বলেছে, ভারতের যেসব মৎস্যব্যবসয়ীরা আগে আবেদন করেছিলেন এবার তাদের আবারও নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে যারা নতুন করে আবেদন করতে চান তাদের ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর এই মুর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানেই বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রায় ৩ হাজার টন ইলিশ পাঠান হচ্ছে। যার অর্থ দুর্গাপুজোয় বাঙালির পাতে পড়বে প্রিয় ইলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।