সংক্ষিপ্ত

নোবেলজয়ীা মহম্মদ ইউনুসের শাসনকালে ক্রমশঃ পিছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ। সামাজিক অবস্থা, পরিকাঠামো, দূষণ মোকাবিলা, কিছুই ঠিকমতো করতে পারছে না বাংলাদেশের বর্তমান সরকার।

বাংলাদেশে মৌলবাদীদের নতুন স্লোগান 'দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা।' সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ভারত-বিরোধী স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ইতিবাচক কিছুতে না পারলেও, অন্তত একটি বিষয়ে দিল্লিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ঢাকা। সেই বিষয়টি হল বায়ুদূষণ। এতদিন বায়ুদূষণের নিরিখে সবার আগে ছিল দিল্লি। এবার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা ২৪৩। সেখানে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ২৩৪। শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে ঢাকায় যান চলাচল অন্যান্য দিনগুলির তুলনায় কম থাকে। তা সত্ত্বেও শুক্রবার ঢাকায় বায়ুদূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ২৬২। সেখানে দিল্লিতে বায়ুদূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ২১৭। এক্ষেত্রে ঢাকার কাছে পিছিয়ে পড়ায় খুশি দিল্লি।

ঢাকায় বাড়ছে দূষণ

বাংলাদেশের বর্তমান শাসকরা ভারত-বিরোধিতা নিয়ে যত চিন্তিত, সেই তুলনায় দেশ পরিচালনা নিয়ে ভাবিত নন। এই কারণে ঢাকার পরিস্থিতি সব দিক থেকেই খারাপ হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী শহরের প্রধান নদী বুড়িগঙ্গা। সেই নদীও দীর্ঘদিন ধরেই দূষণের গ্রাসে। ঢাকা শহরের যাবতীয় আবর্জনা বুড়িগঙ্গার জলে মেশে। ঢাকা সদরঘাটে দাঁড়ালে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গার জল কালো। এই নদীর জল থেকে নর্দমার মতো গন্ধ পাওয়া যায়। ঢাকায় জল দূষণের পাশাপাশি বায়ুদূষণও বাড়ছে। ঢাকায় যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, সেই অঞ্চলে শুক্রবার বায়ুদূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৩০৮। এরকম বায়ুদূষণ চলতে থাকলে ঢাকায় জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করা হতে পারে।

ঢাকায় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

ঢাকায় যান চলাচলের ক্ষেত্রে অতীতেও নিয়ম মানা হত না। এখন আরও নিয়ম মানা হচ্ছে না। কল-কারখানাও নিয়ম না মেনেই চলছে। সারা বাংলাদেশের মতোই ঢাকাতেও অরাজকতা চলছে। এই কারণেই দূষণ বাড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

ভোট নিয়ে বিএনপি-অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বন্দ্ব শুরু, 'গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি' বাংলাদেশে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অভিনব প্রতিবাদ, উপাচার্যের বাড়ির সামনে বলিউডি গানে উদ্দাম নাচ!

YouTube video player