সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি ঢাকায় একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মুসলিমদের। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে 'নৌ বিফ লেখা হোটেল হিন্দুদের' 'হোটেল চালাতে হলে রাখতে হবে গরুর গোস্ত' 'যে হোটেলে গরুর গোস্ত নেই সেটা হিন্দু হোটেল'।

 

বাংলাদেশের আবারও সুর চড়াতে শুরু করল সংখ্যাগুরু মুসলিমরা। যার এক ও অন্যতম উদ্দেশ্যে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করা। এবার গোটা বাংলাদেশ জুড়ে 'নো বিফ' লেখা হোটেলে খাবার খেতে নিষেধ করতে ডাকা হল বিশাল সমাবেশ। কিন্তু কেন এমন করা হল? তাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল বাংলাদেশের মুসলিম ভোক্ত অধিকার পরিষদ।

সম্প্রতি ঢাকায় একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মুসলিমদের। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে 'নৌ বিফ লেখা হোটেল হিন্দুদের' 'হোটেল চালাতে হলে রাখতে হবে গরুর গোস্ত' 'যে হোটেলে গরুর গোস্ত নেই সেটা হিন্দু হোটেল'। যার অর্থ এবার থেকে বাংলাদেশের বন্ধ করে দেওয়া হবে সমস্ত হিন্দুদের হোটেল। সমাবেশের আয়োজকদের কথায় নে বিফ খাবার হোটেল মানেই ভারতীয় ও হিন্দুদের। তাই এই হোটেল বর্জন করার ডাক দেওয়া গয়েছে।

তবে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরা এখানেই থেকে নেই। গরুর মাংস বিক্রি না করলে হোটেল তুলে দেওয়া বা বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ। তাদের দাবি বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ মানুষই মুসলিম। মুসলিমরা খাবারের হোটেলে গরুর গোস্ত খেতে চান। কিন্তু প্রবল চাহিদার পরেও বাংলাদেশের হিন্দু হোটেলগুলিতে গরুর গোস্ত পাওযা যায় না। হিন্দুদের এই আচরণে মুসলিমরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই হিন্দুদের হোটেল বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

 

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের অত্যাচারিত হচ্ছে হিন্দুরা। প্রথম দিকে হিন্দুদের বাড়ি ঘরের সঙ্গে ব্যবসা ও কর্মস্থলও ধ্বংস করা হয়েছে। লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে হিন্দুদের বাড়ি আর দোকানে। বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্মম নির্যাতন হচ্ছে। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের প্রশাসনের সেই দিকে কোনও ভ্রক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের মাত্র ২ শতাংশ হিন্দুদের বাস। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তাদেরও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।