সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে ঢাকার একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা বলেছে, ভারত চাইলে আমাদের চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহার করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেটের দেশের বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি এই অঞ্চলে যোগাযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির নিকটবর্তী হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থান প্রমাণিত হতে পারে ভারতের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে ঢাকার একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা বলেছে, ভারত চাইলে আমাদের চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহার করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের রাম মাধবের সাথে কথোপকথনের সময় হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন মাধব। প্রতিবেদনে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে এবং আশা করি ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ১৩১. ৫ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন দুই দেশের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক এটাই চান তিনি। এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছিল ৩৭৭ কোটি টাকা। যারমধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশের দিকেই পাইপলাইনের জন্য খরচ হয়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। উত্তর বাংলাদেশের ৭টি জেলায় ভারত থেকে যাবে ডিজেল। পাইপলাইনের উদ্বোধন করে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, গত কয়েক বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রমিক অগ্রগতি গয়েছে। বাংলাদেশের সেই উন্নয়নযাত্রার শরিক হতে পেরে ভারতবাসীও গর্বিত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, গত কয়েক বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রমিক অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের সেই উন্নয়নযাত্রার শরিক হতে পেরে ভারতবাসীও গর্বিত। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমনেক প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা তৈরির স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্যই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ়় করার জন্য পরিবহন, শক্তি, বিদ্যুৎ গ্রিড ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন কোভিড সংক্রমণের সময়ও রেলপথে অক্সিজেন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করেছিল। তিনি আরও বলেছেন জ্বালানিখাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত সফল। আগেই ভারত বাংলাদেশ ১১০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।