সংক্ষিপ্ত
হাসিনা এদিন বলেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অনেক দেশই জ্বালানি সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে এই পাইপলাইন বাংলাদেশের জনগণের কাছে জ্বালানির নিরাপত্তার বার্তা নিয়েই দাঁড়িয়ে রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় যখন বিশ্বে মারাত্মক জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে, তখন বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত তেল পাইপলাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাল করবে। পাইপলাইন উদ্বোধনের পরে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ১৩১. ৫ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের উদ্বোধনের পর এই কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু বলেও এদিন উল্লেখ করেন। তিনি বলেন দুই দেশের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক এটাই চান তিনি। এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছিল ৩৭৭ কোটি টাকা। যারমধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশের দিকেই পাইপলাইনের জন্য খরচ হয়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। উত্তর বাংলাদেশের ৭টি জেলায় ভারত থেকে যাবে ডিজেল। পাইপলাইনের উদ্বোধন করে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, গত কয়েক বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রমিক অগ্রগতি গয়েছে। বাংলাদেশের সেই উন্নয়নযাত্রার শরিক হতে পেরে ভারতবাসীও গর্বিত। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমনেক প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা তৈরির স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্যই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল।
হাসিনা এদিন বলেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অনেক দেশই জ্বালানি সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে এই পাইপলাইন বাংলাদেশের জনগণের কাছে জ্বালানির নিরাপত্তার বার্তা নিয়েই দাঁড়িয়ে রয়েছে। দুই দেশের বন্ধুত্বের একটি মাইল ফলক এই পাইপলাইন। জানিয়েছেন হাসিনা। তিনি আশাবাদী এই প্রকল্প জ্বালানি নিরাপত্তার পাশাপাশি আর্থিক প্রবৃদ্ধিও বাড়াবে। তিনি বলেন পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির সময় ও ব্যায় দুটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। তিনি আরও বলেন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত যে বাংলাদেশকে উন্নয়নে সহযোগিতা করছে তাও জানিয়ে দেন বাংলাদেশের প্রধানমবন্ত্রী।
১৩১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন বসান হয়েথে অসমের নুমলিগড় থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। বছরে ১ মিলিয়ন টন ডিজেল সাপ্লাইনের লক্ষ্যামাত্র নিয়েছে দুই দেশ। পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহ শুধুমাত্র যে পরিবহণ খরচ কমাচ্ছে তা নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে কার্বন নিঃসরণও কমিয়ে দেবে। এদিন পাইপলাইন চালু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশই সার ও জ্বালানি রফতানি করছে। দুই দেশের মধ্যে হাইড্রোকার্বন সহযোগিতা পুরো মূল্য শৃঙ্খল জুড়ে রয়েছে - উজানের তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান থেকে মধ্যধারার পরিবহন এবং ডাউনস্ট্রিম পর্যন্ত। "এই পাইপলাইন এই সহযোগিতাকে আরও জোরদার করবে," তিনি বলেন।
এই পাইপলাইন প্রকল্প ২০১৮ সালে শুরু হয়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত শক্তি হিসেবেই এই পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে। সেই সময়ও দুই দেশের প্রধাননমন্ত্রী পাইপলাইনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।