সংক্ষিপ্ত

ব্যক্তির নাম মহম্মদ আবদুর রহিম। এই ব্যক্তি ফেসবুকে মনোহর বাসুদেব দাস নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেখানেই নিজেকে হিন্দু ও বৈষ্ণব বলে পরিচয় দিয়েছে।

 

প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের আরও একটি ভয়ঙ্কর নজির প্রকশ্যে। বাংলাদেশের লাভ জিহাদের ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। মুসলিম ব্যক্তি বৈষ্ণব সেজে ঠকিয়ে চলেছে একের পর এক হিন্দু রমণীকে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের একধিক হিন্দু মহিলা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বৈষ্ণববেশী মুসলিম ব্যক্তির ছবি শেয়ার করেছে। তার ভয়ঙ্কর কীর্তি কলাপের কথা ফাঁস করছে।

ব্যক্তির নাম মহম্মদ আবদুর রহিম। এই ব্যক্তি ফেসবুকে মনোহর বাসুদেব দাস নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেখানেই নিজেকে হিন্দু ও বৈষ্ণব বলে পরিচয় দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মাঝবয়সী ওই ব্যক্তি বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছে। বংলাদেশের হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এই ব্যক্তির কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছে। সেই পেজ থেকেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে , 'ছবিতে যাতে দেখছেন তিনি একজন ভণ্ড ও প্রতারক। প্রকৃত নাম মহম্মদ আবদুল রহিম ওরফে মনোহর বাসুদেব দাস। জন্মস্থান চট্টোগ্রাম।' সেখানে আরও বলা হয়েছে, আড়পাড়া, মাগুরা সহ একাধিক জায়গায় তাঁকে দেখা গিয়েছে। নিজের তথ্য গোপন করে নড়াইল যশোহর মাগুরা সহ একাধিক মঠেও তিনি গিয়েছেন। সেখানে ভুয়ো আইকার্ড তৈরি করে নিজেকে হিন্দু বলে প্রতিপন্ন করতে চান। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দীক্ষাও নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি খোল-করতাল বাজাতে ও ভজনগীতে পারদর্শী। তার একাধিক স্ত্রীও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ারও আবেদন জানান হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বলা হয়েছে, মুসলিম ব্যক্তি নিজে হিন্দু সেজে মঠে ঢুকছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, মঠ মন্দিরের পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। তাই ১০০ শতাংশ আইডেন্টি কনফার্ম না করে কাউনে মঠ আর মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর কাছেও এই বিষয়ে আবেদন জানান হয়েছে।

যে ব্যক্তির ছবি পোষ্ট করা হয়েছে সেই ব্যক্তির কপালে রয়েছে তিলক কাটা। গলায় কণ্ঠি। শুদ্ধাচারী বৈষ্ণবদের থেকে কোনও অংশ কম নয়। হাতে রয়েছে জপমালা। দেখতে অনেকটা ইসকনের সন্ন্যাসীদের মত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।