সংক্ষিপ্ত

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের। যারমধ্যে চাকরিতে সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়লেও মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির মত সাধারণ ইস্যুগুলিও ছিল।

 

শেখ হাসিনার মতই কী পরিণতি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের? সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। কারণ বালংদেশের মানুষ এবার অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে। পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষরা। মশাল-লাঠি হাতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের। কারণ জনতার প্রতিবাদে সরকার বদলালেও কোনও সুরাহা হয়নি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের। কারণ সরকার বদলালেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম একটুও কমেনি। তার ওপর রয়েছে বাড়তি করের বোঝা।

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের। যারমধ্যে চাকরিতে সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়লেও মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির মত সাধারণ ইস্যুগুলিও ছিল। হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর বাংলাদেশের দায়িত্বে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। নয়নয় করে হাসিনার পতনের পর কেটে গেছে প্রায় ৪ মাস। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে কোনও স্বস্তি নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমা তো দূরের কথা, হুহু করে বাড়ছে খাবারের দাম। এই পরিস্থিতিতেই আবারও পথে নামতে শুরু করেছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবার সময় বেঁধে দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল। তাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শেখ হাসিনার মতই কী পরিণতি হবে মহম্মদ ইউনুসের। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আবারও বাংলাদেশে হব গণঅভ্যুত্থান।

হাসিনার আমল থেকেই মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার হতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পরেও দাম করেনি খাবারের। উল্টে তা বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশের। আইনের শাসন না থাকায় আড়তদার থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ী সকলেই নিজেদের ইচ্ছে মত দাম দিচ্ছে। তাদের বাধা দিচ্ছে না সরকার। কিন্তু নতুন নিয়ম লাগু করে মহম্মদ ইউনুস সরকার সধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। কারণ রেস্তোরাঁর বিলের ওপর এখন থেকে বাড়তি ১৫ শতাংশ কর চাপান হয়েছে। আগে ছিল ৫ শতাংশ। এই অবস্থায় সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। যা নিয়ে পথে নামতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে মূল্যবৃদ্ধি কমাতে ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর থেকে বাড়তি করের বোঝা নামাতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। না বলেও আবারও অশান্ত হতে পারে বাংলাদেশ। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

সূত্রের খবর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিস্কুট, আচার, ম্যাট্রেস, টিস্যু পেপারেও ১৫ শতাংশ কর বসানো হয়েছে। পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের দাম প্রায় আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইউনুস সরকার। এই ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আমজনতা। সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাম কমানো নিয়ে কোনও ব্যবস্থা করা না হলে সরকার ফেলে দেওয়া বলেও হুঁশিয়ারি জনতার।

এই পরিস্থিতিতে রীতিমত জেরবার মহম্মদ ইউনুস সরকার। কারণ এদিকে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ভারত ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের ওপর। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে রয়েছে জামাতের মত জঙ্গি সংগঠনগুলির চাপও। সবমিলি রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। যদিও ইউনুস সরকার হাসিনা বিরোধিতার সুর জিয়ে রেখে সেদেশের জনগণকে কিছুটা আস্বস্ত করতে চাইছে। কিন্তু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই ইউনুস সরকারের বিরোধিতা করতে আর পিছপা হচ্ছে না বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে বাংলাদেশে খাবারেও ঘাটতি রয়েছে। যদিও পাকিস্তান সহ একাধিক দেশ থেকে খাবার আমদানি করছে বাংলাদেশ। ভারতও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ডিম-সহ একাধিক খাবার পাঠাচ্ছে। কিন্তু মহম্মদ ইউনুস সরকারের আমলে আইনের শাসন না থাকায় ন্যায্য়মূল্য তা পৌঁছাচ্ছে না বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হাতে। চড়া দাম দিয়েই তা কিনতে হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি আবরো অগ্নিগর্ভ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।