সংক্ষিপ্ত

  • কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি মিশেল বলসোনারো
  • সম্প্রতি সুস্থ হয়েছেন তাঁর স্বামী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো
  • তারপরেই করোনা আক্রান্ত হলেন দেশের ফার্স্ট লেডি
  • বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত দেশ ব্রাজিলের অবস্থা বেশ সঙ্গীন

মাত্র ৫ দিন আগেই করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তবে  বলসোনারো পরিবারে নতুন করে নেমে এসেছে দুর্যোগ। এবার মারণ রোগের কবলে পড়লেন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর স্ত্রী মিশেল বলসোনারো। তিনি ছাড়াও বলসোনারো সরকারের আরও এক মন্ত্রীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে ফার্স্ট লেডির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়। তবে প্রেসিডেন্সি প্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সুস্থই আছেন মিশেল বলসোনারো।  প্রোটোকল মেনেই তাঁর চিকিৎসা চলছি। এর আগে জুলাইয়ের গোড়ায় প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৯১ হাজারের বেশি।

আরও পড়ুন: হার্ড ইমিউনিটির দিকে এগোচ্ছে মুম্বই, দাবি পুরনিগমের, ভ্যাকসিনেক বিকল্প নেই বলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক

করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর মন্ত্রিসভার এক সদস্যও। ব্রাজিলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী  ম্যাক্রস পোন্টেস কোভিড-১৯ পজিটিভ বলে নিজেই জানিয়েছেন। জ্বরের উপসর্গ টেরে পেতেই লালারসের পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি। তাতেই ধরা পড়েছে করোনা সংক্রমণ। তারপর আইসোলেশনে থেকে ট্যুইট করে নিজের সংক্রমণের খবর দিলেন ৫৭ বছরের ম্যাক্রস।

গত ৭ জুলাই প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে প্রথম করোনাভাইরাসের জীবাণু মেলে। তারপর থেকে ২ সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে রাজধানী ব্রাসিলিয়ার প্রাসাদেই ছিলেনন প্রেসিডেন্ট। সেটাই এখন কনটেইনমেন্ট জোন। গত শনিবার তিনি ঘোষণা করে যে এবার তাঁর লালারসের করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে। শনিবারের পরে চলতি সপ্তাহে জাইর বলসোনারো সস্ত্রীক গ্রামের মহিলা শ্রমিকদের স্বীকৃতি দিতে একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার পরেপরেই করোনায় আক্রান্ত হলেন ফার্স্ট লেডি মিশেল বলসোনারো। এদিকে করোনা তাঁর ফুসফুসের ক্ষতি করেছে বলে দাবি করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: করোনা থেকে সুস্থ হয়েও মিলছে না নিস্তার, ৭৮ শতাংশ রোগীর বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহামারী করোনাকে রুখতে দেশে কোনওরকম সচেতনতা অবলম্বন করেননি তিনি। নিজেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেননি। মাস্ক পরেননি। কোয়ারেন্টাইনে থাকার তত্ত্বকেও ফুৎকারে উড়িয়েছেন। যার জেরে ব্রাজিলে হু হু করে বেড়েছে সংক্রমণ। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা অগুন্তি। তাইতো বিশ্বে দ্বিতীয় করোনা বিধ্বস্ত দেশ হয়ে উঠেছে ব্রাজিল, যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো স্বয়ং। এমনটাই মনে করে সেদেশের সাধারণ মানুষ।