সংক্ষিপ্ত

আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার মতোই স্ত্রী অক্ষতার মাথায় ছাতা ধরে নেট দুনিয়ায় নজর কাড়লেন ব্রিটেনের তরুণ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। 

‘সুজন’ নয়, তাঁর পদবী ‘সুনক’ বটে, তবে, নজরকাড়া স্ত্রীয়ের সঙ্গে একই ছাতায় হাঁটার সুযোগ যে ছাড়তে চান না তিনিও, তার প্রমাণ পাওয়া গেল তাঁর সাম্প্রতিক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে। তিনি লিখেছেন, ‘টোকিওতে আমি কয়েকজন জাপানী ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেছি, যাঁরা গোটা যুক্তরাজ্য জুড়ে বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে রেকর্ড গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি একটি বিশাল আস্থার ভোট, যা অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।’ এই ক্যাপশনের সাথেই জুড়ে রয়েছে তাঁর সাথে তাঁর স্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অক্ষতা মূর্তির ছবি।

এর আগে কিউবায় হাভানা পরিদর্শনের সময় আমেরিকার তৎকালীন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাকে তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামার মাথায় ছাতা ধরতে দেখেছিল গোটা দুনিয়া। বিমান থেকে নামার সময় ঝমঝমিয়ে পড়া বৃষ্টির ছাঁট থেকে সুন্দরী স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য প্রেসিডেন্টের যত্নশীল রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন নেটিজেনরা। তার পরেও একাধিকবার ওবামাকে দেখা গিয়েছিল স্ত্রীয়ের প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে। সেই প্রশংসাতেই এবার খানিকটা ভাগ বসালেন ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।

সম্প্রতি জাপানে জি ৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তাঁর সহচরী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। ব্রিটেনের বিমান জাপানে ল্যান্ড করার পর এই বিশ্ববিখ্যাত দম্পতিকে দেখা গেল হাসিমুখে নেমে আসতে। কিন্তু, আবার বাধ সাধল সেই বৃষ্টি। এদিকে সুন্দরী স্ত্রীয়ের হাতে রয়েছে জামার সঙ্গে রং মেলানো একটি হ্যান্ড ব্যাগ। তাহলে ছাতা ধরবে কে?

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকই নিজের এবং স্ত্রীয়ের মাথার উপর মেলে ধরলেন ব্রিটেনের পতাকার ছবি দেওয়া একটি বিশাল নীল রঙের ছাতা। সেই ছবি নিজেই পোস্ট করলেন নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। ছবি দেখে দম্পতির উদ্দেশ্যে শুভকামনায় কমেন্ট সেকশন ভরিয়ে দিলেন নেটিজেনরা। আর, স্মৃতিকথায় ফের ভেসে এল ওবামা দম্পতির ভালোবাসার ছবি।

আরও পড়ুন-

ইমেলে ‘XX’ লেখা মানে চুমু পাঠানো? নিজের বসের বিরুদ্ধেই কেস ঠুকে দিলেন মহিলা কর্মী
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখোমুখি পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বঙ্গে ছবিটি নিষিদ্ধ করার কারণ কী?

‘অধিকাংশ ডিভোর্স প্রেম করে বিয়ের ক্ষেত্রেই হয়’, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির