সংক্ষিপ্ত
ভাইরাল হওয়া ভি়ডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে একজন মহিলাকে দোকানের ভিতরে একজন পুরুষ জোর করে আটকে রেখেছেন।
লন্ডনের একটি দোকানের ঘটনা উত্তাল বিশ্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। এক কালো মহিলাকে দোকানদার গলা চেপে ধরে নির্যাতন করছে। মহিলাকে দোকানের মধ্যেই বাকি খরিদ্দারদের সামনে অত্যাচার করা হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে রাই লেনের পেকহ্যাম হেয়ার অ্যান্ড কসমেটিকস এর বাইরে। যদিও দোকানদার মহিলার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সমস্যা তৈরি করার অভিযোগ করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভি়ডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে একজন মহিলাকে দোকানের ভিতরে একজন পুরুষ জোর করে আটকে রেখেছেন। মহিলা নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপরই মহিলাকে দোকানে থাকা বিক্রির জন্য একটি ঝুড়ি দিয়ে আঘাত করে। ঝুড়িটিও ভেঙে যায়। মহিলার গলা টিপেও ধরা হয়েছে।
মারধরের এই ভিডিওটি পেকহ্যাম শহরের রীতিমত চর্চার বিষয়ে। অনেকেই দোকানের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। দোকানে মহিলার ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রচুর মানুষ দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়। প্রতিবাদের স্লোগান ছিল 'you touch one, you touch all', 'keep your hands off black women'।
সূত্রের খবর টাকা ফেরত নিয়ে মহিলার সঙ্গে দোকানদারের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। মহিলা কোনও একটি জিনিস কিনেছিলেন। কিন্তু পরে সেটি ফেরত দিতে আসেন। সেই সময়ই দোকানদার জানিয়ে দেন টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও সিস্টেম তাদের নেই। মহিলাকে পরিবর্তে কোনও কিছু কেনার কথাও বলেন। তাতে মহিলা রাজি হননি। পরে বচসা বাধে। সেই সময়ই মহিলা দোকানের তাক থেকে কিছু জিনিস তুলে নিয়েছিলেন। হিসেবপত্র না করেই সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মহিলাকে থামাতে গিয়েই বিপত্তি তৈরি হয়। মেজাজ হারিয়ে দোকানদার মহিলার ওপর চড়াও হয়।
আক্রান্ত মহিলা জানিয়েছেন, তিনি দোকানদারকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দোকানদার তাকে থাপ্পড় মারে। শপিং বাস্কেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতটা জোরে আঘাত করে যে বাস্কেটটি ভেঙে যায়। মহিলা জানিয়েছেন তিনি দোকানদার থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইছিলেন। মহিলা আরও জানিছেন এই ধ্বস্তাধস্তির সময় কখন দোকানদার তাঁকে চড় মেরেছে তা তিনি খেয়ালও করেননি। মহিলা তাঁকে কোনও আঘাত করেননি বলেও জানিয়েছেন।
মেট্রোপলিটান পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ৪৫ বছরের দোকানদারকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে। ভাইরাল ফুটেজের প্রেক্ষাপটের বাইরেও গোটা ঘটনার খোঁজ খবর নিয়েছে। উপস্থিত সকলেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। তবে দোকানদার এই ঘটনার পরই সাময়িকভাবে নিজের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘটনার পরই ৩১ বছরের মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে মহিলাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।