সংক্ষিপ্ত

বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম ব্রিটেন।এর মাঝেই বর্ণবিদ্বেষ থামানোর বার্তা দিলেন ব্রিটেনের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক

বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম ব্রিটেন। বিতর্কের জল এত দূর গড়িয়েছে যে শেষমেশ রাজ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজপরিবারের বহু পুরনো এক সহকারীকে। এবার বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে সরব হলেন ব্রিটেনের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকও।

গত মঙ্গলবার বাকিংহাম প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসেবে হাজির ছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত গোজ়ি ফুলানি। সেই অনুষ্ঠানে অতিথিদের দেখভালের দায়িত্বে সুজ়ান হাসি নাম এক শেতাঙ্গ মহিলা । গোজ়ির অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে তাঁকে বারবার সুজ়ান তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকেন যে তিনি কোন দেশের বাসিন্দা। সেই অনুষ্ঠানের পরের দিন ঘটনাটি টুইট করে জানান গোজ়ি। কালো বলেই এ ভাবে হেনস্থা হতে হলো তাঁকে ? ব্রিটেনের মতো উন্নত সমাজ ব্যবস্থার দিকে প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেন গোজি।

এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তোলপাড় ফেললে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীও সরব হন এই বিষয়ে। তিনি নিজেও একসময় হয়েছিলেন বর্ণবিদ্বেষের স্বীকার হয়েছিলেন লন্ডনে। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কোথাও প্রকাশ্যে জানান তিনি। তিনি বলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হাওয়ায় ছোটবেলা তাকেও নানা হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বর্তমানে তা অনেক কমলেও, কেউ যদি এমন হেনস্থার শিকার হন তাহলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়ানোর বার্তাও দেন তিনি। এপ্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন ,'আমাদের আরও উন্নত ভবিষ্যতের দিকে যাওয়ার কথা ভাবতে হবে।'