সংক্ষিপ্ত

চলতি মাসের শুরুতেই সৌদি আরবে শুরু হয়েছিল কিং আব্দুল আজিজ উট ফেস্টিভ্যাল। যা সৌদি আরবের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বের কাছেই অত্যান্ত জনপ্রিয়।

উটের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় (Camel Beauty Contest) একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia)। সেদেশের রাষ্ট্র পরিচালিত প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী উটগুলিকে বোটক্স ইনজেকশন (Botox) দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি উটগুলিকে কোনও কৃত্রিম টাচ-আপও করা যাবে না। বোটক্স ব্যবহার করার কারণে ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতা থেকে ৪০টিরও বেশি উটকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ৪০টিরও বেশি উট আর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। 

চলতি মাসের শুরুতেই সৌদি আরবে শুরু হয়েছিল কিং আব্দুল আজিজ উট ফেস্টিভ্যাল। যা সৌদি আরবের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বের কাছেই অত্যান্ত জনপ্রিয়। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী জয়ী উটের মালিকদের প্রায় ৬৬ মিলিয়ন ডলার আর্থিক পুরষ্কার দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী উটেদের জয়ী করার জন্য মালিক পক্ষও উঠগুলির ওপর নির্যাতন চালায়। সেগুলিকে বোটক্স ইনজেকশন দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফেস-লিফট ও অন্যান্য প্রসাধনীর সাহায্যে আরও সুন্দর করে তোলে। কিন্তু প্রতিযোগিতার আইন বা নিয়ম অনুয়াযী এজাতীয় কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না উটের মালিক। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র অর্থের লোভে উটগুলির ওপর একাধিকপরীক্ষা নীরিক্ষা চালান হয়। সেই কারণে উটগুলিকে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে আরও কঠোর করা হয়েছে প্রতিযোগিতার নিয়ম। তাতেই বাদ পড়ছে প্রায় ৪০টি উঠ। 

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী উটের মাথা, ঘাড়, কুঁজ, পোষাক আর অঙ্গ-ভঙ্গি দেখেই বিচারকরা সেরা বা বিজয় উট নির্বাচন করবেন। এক্ষেত্রে কোনও কৃত্রিম পন্থায় উটদের সুন্দর করে তোলার বিরোধী আয়োজকরা। 

সৌদির রাজধানী রিয়াদের উত্তর পূর্বে মরুভূমিতে মাসব্যাপী উৎসবে বিচারকরা কৃত্রিমভাবে সুন্দরকরা উটদের বাদ দিতেই বেশি আগ্রহী বলে সরকারে বিজ্ঞাপ্তিতে জানান হয়েছে। এভাবে উটেদের ওপর অত্যাচার করা যাবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। তাই উটেদের কৃত্রিম উপায়ে সুন্দর করা হচ্ছে কিনা তা দেখতে শনাক্ত করার জন্য বিশেষ ও উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাতেই ধরা পয়েছে ৪০এর বেশি উটকে সুন্দর করার জন্য কৃত্রিম উপায় নেওয়া হয়েছিস। 

চলতি বছর কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে কয়েক ডজন উটের ঠোঁট ও নাক প্রসারিত  করা হয়েছে। পশুগুলির পেশী বাড়াতে হরমন ব্যবহার করা হয়েছে। উটগুলির মাথা আর ঠোঁটকে আরও বড় করার জন্য বোটস্ক ইনজেকশন দিয়েছে। রাবার ব্যান্ড দিয়ে শরীরের বেশ কিছু অংশ স্ফীত করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে ফিলারও। পরিবর্তন করা হয়েছে উটগুলির মুখও। তবে আয়োজনকা উটদের ওপর হওয়া এজাতীয় অত্যাচার বন্ধ করতে আগ্রহী। সেই কারণেই একাধিক পদক্ষেপ করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ম্যানিপুলেটরদের কঠোর সাজা দেওয়া হবে। 

এই উৎসবে উটেদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিশাল কার্নিভালেরও ব্যবস্থা থাকে। এখানে আয়োজন করা হয় উটের দৌড়। উট বিক্রয় ও নিলামেরও ব্যবস্থা থাকে। উদ্যোক্তাদের মূল লক্ষ্যই বেদুইন ঐতিহ্য রক্ষা করা।  পাশাপাশি উটের ভূমিকাও সংরক্ষণ করা। আধুনিক যুগে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলি ধরে রাখতে একাধিক ব্যবস্থা করে উদ্যোক্তরা। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে উটদের ওপর হওয়া নির্যাতন তারা মেনে নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। তবে ভুলে গেলে চলবে না আধুনিক এই যুগেও উট প্রজনন একটি মিলিয়ন ডলার শিল্প।  

COVID Epidemic: কোভিড মহামারি শেষ হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কী করে নেওয়া হবে

Video Of Anaconda: তরতরিয়ে রাস্তা পার হয়ে গেল অ্যানাকোন্ডা, তাই দেখেই অবাক নেটিজেনরা

Bangladesh: এক ছাত্রকে খুন, ২০ ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল বাংলাদেশের আদালত