সংক্ষিপ্ত
চিনে (China) ঘুমন্ত প্রাক্তন প্রেমিকার চোখের পাতা খুলে ধরে ১৮ লক্ষ টাকা চুরি করল এক ব্যক্তি। এই কাহিনি এখন ভাইরাল (Viral News)।
বর্তমান যুগে, মোবাইল ফোনই সব। ফোনেই থাকে বিভিন্ন অ্যাপ, যার সঙ্গে যুক্ত থাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ফলে মোবাইল ফোন এক অর্থে টাকা পয়সার ব্যাগও বটে। তাই এখন, মোবাইল ফোনে, তথ্য সুরক্ষার জন্য, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় - ফেস ডিটেক্টর (Face Detector), ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার-এর (Finger Print Scanner) মতো বায়োমেট্রিক ব্য়বস্থা দেওয়া থাকে অধিকাংশ স্মার্ট ফোনে। কিন্তু, সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকলে, চুরি আটকায় কে? এমনই এ বিস্ময়কর চুরির ঘটনা ঘটেছে চিনে (China)। প্রাক্তন প্রেমিকার ১,৫১,২০২ ইউয়ান বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ লক্ষ টাকা চুরি করার দায়ে জেল হয়েছে এক ব্যক্তির। তবে, চুরিটি প্রচলিত পথে করেনি সে। এর জন্য সে ব্যবহার করেছিল প্রাক্তন প্রেমিকার মোবাইল ফোন। ক্যামেরার সামনে ডং-এর মুখটা ধরে, আঙুল দিয়ে তার চোখের পাতা খুলে ধরেছিল।
তাতে করে, ফেসিয়াল রেকগনিশন লক খুলে গিয়েছিল। তারপরে ডং-এর আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে তাঁর স্মার্টফোনটা আনলক করে ফেলেছিল হুয়াং। এরপর ফের ফোনের ফেসিয়াল এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহার করে সে ডং-এর 'আলিপে পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম'এর (ভারতের ফোনপে ইত্যাদির মতো অনলাইন পেমেন্ট অ্য়াপ) অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল হুয়াং। এরপর ডং-এর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বড় মাপের অর্থ সরায় হুয়াং। আর চুরির এই অভিনবত্বের জন্যই এখন তার কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাকে গ্রাস করেছিল জুয়ার নেশা। আর এই করতে গিয়ে তার অনেক অর্থ ধার হয়ে গিয়েছিল। ওই চুরির অর্থ হুয়াং ব্যবহার করেছিল সেই জুয়া খেলার ঋণ মেটাতে। পরের দিন সকালে ব্যাঙ্ক থেকে বড় মাপের টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল ডং-কে। তখনই প্রথম তিনি চুরির বিষয়টা ধরতে পেরেছিলেন। এই ঘটনার কয়েক মাস পর হুয়াংকে গ্রেফতার করেছিল চিনা পুলিশ। সম্প্রতি ন্যানিং-এর এক আদালত তাকে চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে ২০,০০০ ইউয়ান জরিমানাও দিতে হবে।
গত সপ্তাহে, এর কাছাকাছি একটি প্রতারণার ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশে। ৪৮ বছর বয়সী এক মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁর ২২ বছর বয়সী মেয়ের পরিচয়ে জীবন যাপন করার। সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী এইভাবে দুই বছরের বেশি কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। তরুণী মেয়ের পরিচয়ে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, শিক্ষার্থী ঋণ গ্রহণ করেছিলেন, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স বের করেছিলেন একটি সামাজিক নিরাপত্তা কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন এমনকী কয়েকজন অল্পবয়সী পুরুষদের সঙ্গে ডেটিংও করেছিলেন।