সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিকের পথে চিন
- নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই
- মৃত্যু হারও কমে গিয়েছে অনেকটাই
- ধীরে ধীরে খুলছে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। ১৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৮ হাজার গণ্ডী। ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে দুনিয়ার সব প্রান্তেই। এই অবস্থায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই পথ দেখাল চিন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স , স্পেন সহ একাধিক দেশ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ভূখণ্ডে করোনা সংক্রমণ আটকাতে পারা চিনের পক্ষে বড় সাফল্য। তবে নিজেদের দেশে নতুন করে কোনোও কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগী না থাকলেও চিনের চিন্তা অবশ্য শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কারণ বাইরের দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী সেদেশে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে বিদেশ থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিনে আসা রোগীর সংখ্যা ৩৪।
আরও পড়ুন: দাদু আটকে রয়েছেন নার্সিংহোমে, নিজের বাগদানের কথা জানাতে জানলাই ভরসা তরুণীর, হৃদয় ছুঁল ছবি
গত ডিসেম্বরে চিনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। তবে ডিসেম্বরে করোনা থাবা বসালেও জানুয়ারি থেকে নিয়মিত রিপোর্ট দিতে শুরু করে চিন। গত দু'মাসের মধ্যে এই প্রথম করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর উহানে নতুন করে কোনোও আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে চিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মারণ করোনার মোকাবিলা করতে গত ২৩ জানুয়ারি উহানকে লকডাউন করে দেয় চিন। তার ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন শহরের এক কোটি ১০ লক্ষ মানুষ। পরবর্তী সময়ে গোটা হুবেই প্রদেশকে লকডাউন করে দেওয়া হয়। যার জেরে গৃহবন্দি হন ৪ কোটির বেশি মানুষ। পাশাপাশি গোটা চিনে লকডাউন ঘোষণা না করা হলেও জমায়েত নিয়ন্ত্রণে নানা রকম পদক্ষেপ করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৫১, বারাণসী ও হরিদ্বারে বন্ধ হল বিখ্যাত গঙ্গা আরতি
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনও খবর না হলেও চিনে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশটিকে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে৩,২৪৫। দেশটিতে ৮১,০০০ বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটলেও মাত্র ৭,২৬৩ জনের অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেছিল।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১০ মার্চ প্রথমবার উহান সফরে যান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনিপং। শহরের পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তখনই ঘোষণা করে চিনা প্রশাসন। ঐদনিই হুবেই প্রদেশের মানুষদের লকডাউনের পর প্রথমবার নিজেদের এলাকায় সফরের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরে গত বুধবার সুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে হুবেই প্রশাসন। এক কথায় তিন মাস পর ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিকের পথে ফিরছে চিন। খুলছে অফিস। কাজে যোগ দিচ্ছেন মানুষজন। কিছু কিছু এলাকায় স্কুল খুলে পঠন-পাঠনও শুরু করা হয়েছে।