সংক্ষিপ্ত
- তিব্বতের রাজধানী লাসায় আকাশে চিনা বিমান
- বায়ু সেনার মহড়া দিচ্ছে চিন
- মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নিয়ে বিল পাশ
- তারপরই শক্তি প্রদর্শনে নামল চিন
তিব্বতের রাজধানী লাসার আকাশ প্রায় ছেয়ে গেল চিনের চপারে। একের পর এক চপার দিনভর চক্কর কাটছে তিব্বতের রাজধানীর এপ্রাপ্ত থেকে ওপ্রান্তে। শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধদের ছোট্ট রাজ্য তিব্বতে শুরু হয়েছে চিনের বায়ু সেনার মহড়া। রাজনৈতিক মহলের ধারনা চিনের কমিউনিস্ট পার্ট তাদের সামর্থ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই বায়ু সেনার মহড়ার জন্য বেছে নিয়েছে তিব্বতকে। এর আগে এজাতীয় মহড়া দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকের আগে। সেই সময় চিনের সেনা বাহিনী তরুণ তিব্বতিদের বিদ্রোহকে চূর্ণ করতে এজাতী মহড়া চালিয়েছিল। সূত্রের খবর, তিব্বতের পোটোলা প্রসাদের উপরে দিয়ে প্রায় ডজনখানেক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে লাসায় যদি সামান্যতম অশান্তির আঁচ পায় শি জিংপিং সরকার তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে সময় নেবে না তারা। আর সেই কারণে বিমান মহড়ার মাধ্যমে চিন তিব্বতিদের তার শক্তি প্রদর্শনের একটি নমুনা প্রকাশ করল মাত্র।
মার্কিন কংগ্রেস সদ্যোই তিব্বত নিয়ে একই বিল পাশ করিয়েছে সেনেটে। সেই বিল অনুযায়ী তিব্বতের স্বাধীনতার পাশাপাশি দলাই লামার পরবর্তী উত্তরসূরি নির্বাচন প্রসঙ্গেই একাধিক বার্তা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন এই এই আইনকে যদিও মানতে চায়নি চিন তবে আইনটি স্বাগত জানিয়েছে তিব্বতের বাসিন্দাদের একাংশ। ভারতের হিমাচলে বসবাসকারী নির্বাসিত তিব্বতিরাও মার্কিন আইনকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন। এই বিল পাশের পরই তিব্বত নিয়ে চিন শক্তিপ্রদর্শনের নেমেছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
বেলাশেষে ট্রাম্পের ভোলবদল, রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সামনে ভারত .
নতুন দিল্লিতে বসবাসকারী এক তিব্বতির কথায় তিব্বতকে দোষী সাব্যস্ত করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং। যার একটি হতে পারে এই বিমান মহড়া। তিনি আরও বলেছেন চিন তিব্বতে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইবে না যা মার্কিন আইনকে সমর্থন করবে। এজাতীয় বিমান মহড়াকে তিনি স্বাভাবিক মহড়া হিসেবেই দেখছেন। তিনি আরও বলেছেন এই সময় চিনা সেনা এজাতীয় মহড়া দিয়ে থাকে। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর থেকেই শি জিংপিং তিব্বতের ওপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেতে শুরু করেছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্যান্য মুসলিম, ক্যাথলিক দাওবাদ-সহ একাধিক ধর্মগুরুদের চিনা কমিউনিস্ট পার্টির অধীনে আনতে প্রয়াস চালিয়েছিলেন। পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মগুরুদের সঙ্গে তিনি একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন। সেখানে জিনজিয়াং প্রদেশ একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখনও পুরোপুরি বাগে আসেনি তিব্বতিরা। যা মাঝে মাঝেই বেগ দেয় বেজিংকে।