সংক্ষিপ্ত

ব্রিটেন করোনাভাইরাসের ওমিক্মণের প্রথম দুটি কেশ নথিভুক্ত করেছে। এটিকে আরও সংক্রামক ও ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে।

রীতমত আতঙ্কের রূপ ধারন করছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ (Coronaviruss Variant) ওমিক্রন (Omicron)। বেশ কয়েক মাস ধরে বিশ্ব জুড়েই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রন। ব্রিটেন (Briten) জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই তাদের দেশের দুই নাগরিক করোনার এই নতুন  রূপে আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপাল দক্ষিণ আফ্রিকা। 

ব্রিটেন করোনাভাইরাসের ওমিক্মণের প্রথম দুটি কেশ নথিভুক্ত করেছে। এটিকে আরও সংক্রামক ও ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে দুজন আক্রান্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণের সম্পর্ক রয়েছে। ব্রিটেনে স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন দুই আক্রান্তকেই দ্রুত চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের আলাদা করা হয়েছে। সংক্রমিত দুই ব্যক্তি কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তার খোঁজেও অনুসন্ধান চলছে। 

Killer Mother: ধর্ষণের অপমান, সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা মা খুন করল ৪০ দিনের সন্তানকে

Congress-TMC: কংগ্রেস সম্পর্কে 'অনাগ্রহী', শীতকালীন অধিবেশনের আগে বড় ইঙ্গিত তৃণমূলের

Internet Service: ইন্টারনেটের আওতায় এবার ১০০ কোটি মানুষ, শীঘ্রই নয়া নজিরের ইঙ্গিত রাজীব চন্দ্রশেখরের

আক্রান্ত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন চেমসফোর্ডের রয়েছেন। অন্যজন রয়েছে নটিংহামে। সংক্রমণ রুখতে ও ব্রিটেনের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কারণে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও প্রধান বৈজ্ঞনিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্সের দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। ব্রিটেন সরকার মালাউই, মোজাম্বিক, জাম্বিয়া, অ্যাঙ্গোলাসহ আরও চারটি আফ্রিকান দেশকে ভ্রমণের লাল তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও লেসোথো জিম্বাবুয়ে, বাতসোনাতেও ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।  

অন্যদিকে ব্রিটেনসহ ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশ কোভিড ১৯এর নতুন রূপ ওমিক্রনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাওয়ার যাত্রীদের ভ্রমণের ওপর নিষেজ্ঞা জারি করছে। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডো ফাহলা। তিনি বলেছেন এই পদক্ষেপ পুরোপুরি অযৌক্তিক ও প্রতিক্রিয়াশীল। 

তিনি বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষকে তাঁরা আশ্বস্ত করতে চান। ব্রিটেন ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ পদক্ষেপ করেছে তা সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য ব্যবস্থার গ্রহম সম্পূর্ণরূপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত নিয়ম ও মানদণ্ডের পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন এজাতীয় পদক্ষেপ মানুষকে আরও ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলবে। তাতে মানুষ নিজের রোগ লুকিয়ে রাখবে। ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, ব্রাজিল রাশিয়াসহ ২৭টি দেশ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলির ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে ওমিক্রন যে নতুন করে বিপজদ বাড়াচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রেখা না।