সংক্ষিপ্ত

  • কলম্বোর কাছে পণ্যবাহী আগুন 
  • যশের ঝোড়ো বাতাস আগুন নেভাতে সাহায্য করে 
  • শ্রীলঙ্কার রাসায়নিক  ছড়িয়েছিল জাহাজে 
  • ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথ উদ্যোগে উদ্ধারকার শুরু করে 

গত একসপ্তাহ ধরেই দাউ দাউ করে জ্বলছিল সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি  পণ্যবাহী জাহাজ এমভি এক্সপ্রেস পার্ল (MV EPress Pearl)। কলম্বোর কাছেই বিশাল মালবাহী জাহাজটিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। জাহাজের এই অগ্নিকাণ্ড রীতিমত উদ্বেগ বাড়িছিলে শ্রীলঙ্কার। কারণ আগুনের কারণে জাহাজ থেকে তেল ও অন্যান্য রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছিল। একাধিকবার রাসায়নিক আর অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে আগুন নেভানোর মরিয়ে প্রয়াস চালিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সব শেষে সহায় হয় প্রকৃতি। পূর্ব ভারতের ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas) কারণে ঝোড়ো বাতাস আগুন জ্বলতে বাধা দেয়। প্রবল বাতাসে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীর সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাকেও বাধা দিতে দেখা গিয়েছিল। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনী এই জাহাজে প্রায় ৪২৫ কিলোগ্রাম ফায়ার রেটার্ড্যান্ট ক্যামিক্যাল ছড়িয়ে দেয়। হেলিকপ্টামের মাধ্যমেই এই অসাধ্য সাধন করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে। 

সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজের বিপর্যয় মোকাবিলায় শ্রীঙ্কার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করেছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার কলম্বোর দায়িত্বপ্রাপ্তা ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানান হয়েছে, আগুনে জাহাজের বেশিরভাগ অংশই ভস্মীভূত হয়ে গেছে। আগুনের দাপট কমে যাওয়ায় এখন কিছু অংশ পরিষ্কার কের দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর আইজি জানিয়েছেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুততার সঙ্গে শ্রীলঙাকর নৌযান সিন্ধুড়াল ও অন্যান্য উদ্ধারকারী জাহাজ ২৫জনকে উদ্ধার করে। জাহাজের সমস্ত ক্রু মেম্বারদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। অগ্নিনির্বাপক প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পর্যন্ত তেল থেকে সমুদ্রে কোনও দুষণ ছড়ায়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি জাহাজটি ডুবে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সামুদ্রিক পরিবেশ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ দর্শনী লহানদাপুরা বলেছেন জাহাজের ইঞ্জিন ও জ্বালানী ট্যাঙ্ক থেকে রাসায়নিক বা জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই জাহাজটি ১ হাজার ৪৮৬টি কন্টেনারে প্রায় ২৫ টন বিপজ্জনক নাইট্রিক অ্যাসিড বহন করছিল। এই রায়াসনিক যদি সমুদ্রের জলে মিশে যায় তাহলে তা নেগাম্বোর দিকে অগ্রসর হবে। এই সমুদ্রের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি এই এলাকাটি পর্যটকদের আকর্ষণও হারাবে। এই শ্রীলঙ্কার অন্যতম এক পর্যটন কেন্দ্র। কার্গো জাহাজটি গুজরাট থেকে কলম্বো যাচ্ছিল। রাসায়নিকের সঙ্গে ছিল কাঁচা মালও। কলম্বো উপকূল থেকে ৯.৫ ন্যটিক্যাল মাইল দূরে আগুন লেগে গিয়েছিল।