সংক্ষিপ্ত

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দানিশ সিদ্দিকি হত্য়ার তীব্র নিন্দা জানালো ভারত। তালিবানরা অবশ্য এই হত্যার দায় নেয়নি, বরং দুঃখ প্রকাশ করেছে।

কী আশ্চর্য সমাপতন। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) বৈঠকে বিষয় ছিল সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রে অসামরিক ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা। আর তার ঠিক কয়েক ঘন্টা আগেই আফগানিস্তানের কান্দাহারে তালিবান-আফগান সংঘর্ষের বলি হতে হয়েছে ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকিকে। উপযুক্ত মঞ্চ পেয়ে এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলা। তবে, দানিশের মৃত্যুর দায় নেয়নি তালিবানরা। বরং এই চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ভারতীয় সাংবাদিকের মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বুধবার, ১৪ জুলাই, কান্দাহারে অবস্থিত একটি সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নিয়েছিল তালিবানরা। শুক্রবার থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী সেই বর্ডার ক্রসিং দখল করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেই ছিলেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর চিত্র সাংবাদিক, দানিশ সিদ্দিকি। কান্দাহারের স্পিন বোলদাক জেলায় পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আফগান বাহিনীর কমান্ডার সিদ্দিক কারজাই-এর সঙ্গেই প্রাণ হারান দানিশ-ও।

এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভারতীয় চিত্রসাংবাদিকের মৃত্যুর কথা তোলেন বিদেশ সচিব শ্রিংলা। আরও একবার ভারতের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে শূন্য-সহনশীলতার নীতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এদিনন স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা নাগাদ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় দানিশের নিথর দেহ।

অন্যদিকে, সিএনএন-নিউজ১৮'এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ, ভারতীয় সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় আফসোস করেছেন। তিনি বলেছেন, 'যুদ্ধাঞ্চলে প্রবেশ করা যে কোনও সাংবাদিকের উচিত আমাদের জানিয়ে রাখা। সেই ক্ষেত্রে আমরা সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য যথাযথ সাবধানতা নিতে পারি। আমরা ভারতীয় সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির মৃত্যুর জন্য দুঃখিত। আমাদের আফসোস, ওই সাংবাদিকরা আমাদের কাছে কোনও তথ্য না দিয়েই যুদ্ধাঞ্চলে প্রবেশ করেছিলেন'।