সংক্ষিপ্ত

নেপালের ধিতুং ভারতের মুজাফফরপুর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। কম্পনের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিহারের কিছু মানুষ। নেপালে ভূমিকম্পের কারণে বিহারের যে জেলাগুলিতেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে, সেগুলি হল রাজধানী পাটনা, সহরসা, পূর্ণিয়া, মাধেপুরা, কাটিহার, আরারিয়া, দারভাঙ্গা, মধুবনি, সীতামারহি এবং মতিহারী।

রবিবার কাঠমান্ডুর ১৪৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে নেপালের ধিতুং-এ কেঁপে উঠল মাটি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বিহারের সীতামারহি, মুজাফফরপুর এবং ভাগলপুরেও এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে নেপালের কাঠমান্ডুতে কম্পন অনুভূত হয়।

নেপালের ধিতুং ভারতের মুজাফফরপুর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। কম্পনের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিহারের কিছু মানুষ। নেপালে ভূমিকম্পের কারণে বিহারের যে জেলাগুলিতেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে, সেগুলি হল রাজধানী পাটনা, সহরসা, পূর্ণিয়া, মাধেপুরা, কাটিহার, আরারিয়া, দারভাঙ্গা, মধুবনি, সীতামারহি এবং মতিহারী। তবে কোথাও থেকে কোনো প্রাণহানি বা কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

কিছু দিন আগে সোমবার, একটি ৪.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মধ্য নেপাল কেঁপে ওঠে, অনেকের ঘুম ভেঙে যায়। স্থানীয়রা আতঙ্কে ছুটে বাইরে আসেন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, রিখটার স্কেলে ৪.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি সকাল ৬.০৭ মিনিটে হয়েছিল, যার কেন্দ্রস্থল ছিল সিন্ধুপালচক জেলার হেলাম্বুতে, কাঠমান্ডুর ১০০ কিমিপূর্বে।

১৭ই জুলাই গভীর রাতে কেঁপে ওঠে মণিপুরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। শনিবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। এই তথ্য জানিয়ে নিজেদের অফিশিয়াস পেজে টুইট করে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বা এনসিএস। এনসিএস জানিয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৯৪ কিমি গভীরে। মনিপুরের মইরাং থেকে ৬৬ কিমি পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে শনিবার রাত ১১.৪২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। 

ভূমিকম্প হলে কি করবেন?
ভূমিকম্পের পর বাড়িতে থাকলে মেঝেতে বসার চেষ্টা করুন।
অথবা আপনার ঘরে যদি কোনো টেবিল বা আসবাবপত্র থাকে, তাহলে তার নিচে বসে হাত দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।
ভূমিকম্পের সময় বাড়ির ভিতরে থাকুন এবং কম্পন বন্ধ হওয়ার পরেই বাইরে যান।
ভূমিকম্পের সময়, বাড়ির সমস্ত বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করুন।

ভূমিকম্প হলে কি করবেন না?

ভূমিকম্পের সময় লিফট ব্যবহার করবেন না।
ভূমিকম্পের সময় ঘরে থাকলে দরজা, জানালা ও দেয়াল থেকে দূরে থাকুন।
ভূমিকম্পের সময় ঘরে থাকলে বাইরে যাবেন না। আপনি যেখানে আছেন নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করুন।
ভূমিকম্পের সময় বাড়ির বাইরে থাকলে উঁচু দালান ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।