সংক্ষিপ্ত
যৌনতায় আসক্ত ছিল কুখ্যাত মেক্সিকান ড্রাগ মাফিয়া এল চ্যাপো (Mexican Drug Lord El Chapo)। এক সাম্প্রতিক বইয়ে বলা হয়েছে, কারাগারে বন্দি থাকাকালীনও বসত তার মেহফিল, ধর্ষিতা বহু মহিলা কারাবন্দি।
কুখ্যাত মেক্সিকান ড্রাগ মাফিয়া এল চ্যাপো (Mexican Drug Trafficker El Chapo), একসময় এতটাই প্রভাবশালী ছিল, যে কারাগারেও তার সমস্ত শখ পূরণ করা হতো। সম্প্রতি সাংবাদিক অ্যানাবেল হার্নান্দেজ (Anabel Hernandez), তাঁর নতুন বই 'এমা অ্যান্ড দ্য আদার নারকো উইমেন'-এ (Emma and the Other Narco Women), ড্রাগ লর্ড এল চ্যাপো সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানিয়েছেন। বইয়ে দাবি করা হয়েছে, এল চ্যাপো সেক্স অ্যাডিক্ট ছিল। অর্থাৎ, যৌনতায় আসক্ত ছিল সে। যখন ইচ্ছে তখন, মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অভ্যস্ত ছিল। কারাগারে বন্দি হওয়ার পরও তার এই কার্যকলাপ বজায় ছিল।
সেই সময়, এল চ্যাপো বন্দী ছিল মেক্সিকোর (Mexico) পুয়েন্তে গ্রান্দে কারাগারে (Puente Grande Proson)। 'ডেইলি স্টার' পোর্টালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই কারাগারে বাইরে থাকার সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পেত এই ড্রাগ লর্ড। জেলের মধ্যেই সে ভায়াগ্রার মতো যৌনতা বৃদ্ধিকারী ওষুধ সেবন করত। মাদক, যৌনতা থেকে শুরু করে সুস্বাদু খাবার, সবকিছুই তাকে দেওয়া হতো। জেল থেকেই শহরের নামি দামি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করত সে।
অ্যানাবেল হার্নান্দেজ, তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন, এল চ্যাপো যৌনতায় আসক্ত ছিল। একবার নাকি সে তার সঙ্গীর সঙ্গে বাজি ধরেছিল, কে কতক্ষণ ধরে সেক্স করতে পারে, তাই নিয়ে। এহেন যৌনতায় আসক্ত এল চ্যাপোর জন্য, জেলের বাইরে থেকে পতিতাদের ডাকা হত। তাদের কাউকে না পাওয়া গেলে কারাগারে কর্মরত নার্স, সাফাই কর্মী এবং রাঁধুনিদেরও তার কাছে পাঠানো হত যৌনদাসী হিসাবে। এর বিনিময়ে তাদের টাকা দেওয়া হত।
শুধু তাই নয়, জেলে থাকাকালীন সে কয়েকজন মহিলা বন্দিকে ধর্ষণও করেছিল বলে অভিযোগ। নয়া বইটিতে বলা হয়েছে, যেসব মহিলা বন্দিরা এল চ্যাপোর ইচ্ছা পূরণ করতে অস্বীকার করতেন, তাদের নির্মম অত্যাচার করা হতো। এরকম একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মহিলা বন্দি এল চ্যাপোর সঙ্গে সঙ্গম করতে না চাওয়ার পর তাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। তারপর এল চ্যাপো তাকে ভয়ঙ্করভাবে ধর্ষণ করেছিল।
এল চ্যাপো নামেই বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি পেলেও, তার আসল নাম হোয়াকিন আর্কিভালদো গুজমান লোরা (Joaquín Archivaldo Guzmán Loera )। ১৯৯৩ সালে এক ক্যাথলিক বিশপকে হত্যা দায়ে তাকে প্রথম কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কয়েক বছর পর, সে সেখান থেকে পালিয়েছিল। পরে সে আবার ধরা পড়ে। বর্তমানে আমেরিকার কলোরাডো প্রদেশের হাই সিকিউরিটি কারাগারে (High Security Prison in Colorado, America) সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছে।