সংক্ষিপ্ত
- চিনকে ছাড়িয়ে করোনার কেন্দ্রস্থল ইউরোপ
- জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু
- নতুন ফান্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিল হু
- করোনার গ্রাসে খাদের কিনারায় বিশ্ব অর্থনীতি
চিনের পর মারণ করনোভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইউরোপের দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের ফলে তৈরি হওয়া মহামারির এপিসেন্টার হিসাবে ইউরোপকে ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। দিন কয়েক আগেই করোনাভাইরাসকে বিশ্ব মহামারি হিসাবে ঘোষণা করেছে হু।
হু-এর প্রধান ডক্টর টেড্রোস অ্যাধহানম গ্রেবিয়েসুস এক অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘ইউরোপ এখন মহামারির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাওয়া একটি করুণ মাইলফলক, চিনে মহামারীর সময় যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন ও মৃত্যু হয়েছিল, এখন তার থেকে বেশি খবর আসছে।’
আরও পড়ুন: দু'জনে সংসার করেছেন ৬০ বছর, করোনা আক্রান্ত হয়ে একসঙ্গেই মৃত্যু দম্পতির
ইউরোপের ইতালি ও স্পেনে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ইতালিতে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে দেশটিতে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। ফলে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১২৬৬ জনে পৌঁছে গেছে। করোনা ঠেকাতে ৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত গোটা ইতালিকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা ঠেকাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে স্পেনেও।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় রাজকোষ থেকে বরাদ্দ ৫০ বিলিয়ন ডলার, দেশজুড়ে জরুরী অবস্থা ঘোষণা ট্রাম্পের
এদিকে করোনার দাপটে খাদের কিনারায় পৌঁছে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চলতি বছর ইউরোপের আর্থিক বৃদ্ধির হার শূণ্যেরও নিচে নামতে পারে। এমন আশঙ্কার খবর শুনিয়েছে স্বয়ং ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী শাখা ইউরোপিয়ান কমিশনের এক আধিকারিক শুক্রবার বলেন, 'এ বছর ইউরো জোন এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের সামগ্রিক বৃদ্ধির হার কমে শূন্যে নেমে আসতে পারে। এমনকি চূড়ান্ত পরিসংখ্যান শূন্যেরও নীচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।'
করোনার থাকা থেকে ইউরোপিয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ইতালিকে সমস্ত ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইউরোপে করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারনা পেতে একটি মডেলও তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগামী দিনে স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনে করোনাভাইরাস দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।