সংক্ষিপ্ত

কিন্তু এত বছর কচ্ছপটি কীভাবে বেঁচে ছিল তা দেখে তারা সবাই হতবাক। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে কাঠের মেঝে ও অন্যান্য ছোট পোকামাকড় খেয়ে কচ্ছপটি বহাল তবিয়তে ছিল।

তিরিশ বছর ধরে নিখোঁজ ছিল পোষ্য কচ্ছপটি। বহুবার খোঁজার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। একপ্রকার হাল ছেড়ে দিয়েছিল পরিবারটি। কিন্তু তিরিশ বছর পর সেই কচ্ছপকে ফিরে পেয়ে রীতিমতো খুশির হাওয়া পরিবারে। কিন্তু সবার মনে তখন একটাই প্রশ্ন, এত বছর কোথায় ছিল কচ্ছপটা। কীকরেই বা হারিয়ে গিয়েছিল সে। আর তারপর সত্যিটা জানতে পেরে চোখ কপালে সবার। 

কি হয়েছিল

ম্যানুয়েলা নামে চিহ্নিত এই কচ্ছপটি ১৯৮২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে পারিবারিক বাড়ি থেকে আচমকা অদৃশ্য হয়ে যায়। যদিও পোষ্য প্রাণীটির জন্য দীর্ঘদিন খোঁজ করা হয়েছিল, তবুও তাকে পাওয়া যায়নি।

পরিবার তখন বুঝতে পেরেছিল যে বাড়ির বৈদ্যুতিক কাজ করার সময়  সামনের দরজা খোলা রেখে যাওয়ার পরে সে নিখোঁজ হয়েছিল। যাই হোক, তিরিশ বছর পর যখন তাদের বাবা লিওনেল মারা যান, পরিবারটি তাদের বাড়িতে গিয়ে কচ্ছপটিকে ছাদে দেখতে পায়।

লিওনেলের ছেলে, লিয়েন্দ্রো, একটি পুরানো রেকর্ড প্লেয়ার সম্বলিত একটি বাক্সের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ম্যানুয়েলাকে জীবিত খুঁজে পান। পরিবার বলেছিল যে তাদের বাবা ভেবেছিলেন যে তিনি কিছু ঠিক করতে পারেন, তাই তিনি অ্যাটিকের সমস্ত আবর্জনা জমা করেছিলেন।

কিন্তু এত বছর কচ্ছপটি কীভাবে বেঁচে ছিল তা দেখে তারা সবাই হতবাক। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে কাঠের মেঝে ও অন্যান্য ছোট পোকামাকড় খেয়ে কচ্ছপটি বহাল তবিয়তে ছিল। একটি রুটিন চেক-আপের পরে, পরিবারও জানতে পেরেছিল যে কচ্ছপটি একটি পুরুষ এবং নামটি ম্যানুয়েলা থেকে ম্যানুয়েলে পরিবর্তন করা হয়।

কচ্ছপ প্রজাতি ২৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এরা খাবার ও জল  ছাড়া ৩ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তাই তিরিশ বছর ছাদে একা একা জীবনধারণ করা বিশেষ কিছু অসম্ভব নয় বলেই মনে করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। তবে তিরিশ বছর ধরে ছাদে কেউ ওঠেনি এবং খোঁজও মেলেনি তার, সেটাই বেশ অবাক লাগার মতো।