সংক্ষিপ্ত

যদি বলা হয় এরকম বিছের আকার একটা কুকুরের সমান, তাহলে কীরকম হবে? ভাবলেই আঁতকে উঠতে হয়, তাই না? 

সাধারণত বিছে (scorpion) বলতেই মনে আসে এক আঙুল (finger-length) বা তালুর সমান লম্বা বিষাক্ত প্রাণী (venomous creature)। যার বিষের কামড়ে তাবড় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। স্থলে চলাফেরা করা বিছেই চোখে পড়ে সাধারণত। কিন্তু যদি বলা হয় এরকম বিছের আকার একটা কুকুরের সমান (Dog Sized Scorpion), তাহলে কীরকম হবে? ভাবলেই আঁতকে উঠতে হয়, তাই না? এরকম বৃহদাকার বিছের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সন্ধান পেয়েছেন বলার চেয়ে বলা ভালো খুঁজে পেয়েছেন এরকম লম্বা বিছের ফসিল। 

নানজিং ইনস্টিটিউট অফ জিওলজি অ্যান্ড প্যালিওন্টোলজির গবেষকরা জানাচ্ছেন সম্প্রতি একটি বিছের ফসিল বা জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়েছে,  যা দক্ষিণ চিনের সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ায়। বিপজ্জনক এই প্রাণীটির যা গড় আকার, তা সাধারণ বিছের চেয়ে ১৬ গুণ বেশি। তবে একটা কথা উল্লেখ্য, এই বৃহদাকার প্রাণীটি এখন নয়, ৪০০ মিলিয়ন বছর আগে বাস করত দক্ষিণ চিন সাগরের তলদেশে। 

Terropterus xiushanensis নামে, এই কুকুরের আকারের বিছেটি বর্তমান সময়ের হর্সশু ক্র্যাব ও হুইপ স্পাইডার প্রজাতির মতোই ছিল। এখনকার বিছের মতোই এটিতে কাঁটাযুক্ত হুল ছিল। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এটি মিক্সোপ্টেরিডস-এর অন্তর্গত ছিল, যা ইউরিপ্টেরিডের (sea scorpions) একটি বিভাগ বলেই মনে করা হয়। 

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও

সমুদ্র বিছে নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীরা জানান, মিক্সোপ্টেরিড সম্পর্কে মোট জ্ঞান দুটি জেনারে মাত্র চারটি প্রজাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা ৮০ বছর আগে সিলুরিয়ান লরুশিয়া থেকে পাওয়া কয়েকটি জীবাশ্ম নমুনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। ভালভাবে সংরক্ষিত জীবাশ্মগুলি মিক্সোপ্টেরিডের রূপগত বৈচিত্র্য বোঝার জন্য নতুন প্রমাণ তৈরি করে।

ভয়ঙ্কর এই প্রাণীটি সিলুরিয়ান সময়কালের মধ্যে বসবাস করত বলে মনে করা হয়। কোনও বিজ্ঞানীর মতে ৪৪৩.৮ মিলিয়ন বছর আগে, আবার কোনও গবেষকের মতে ৪১৯.২ মিলিয়ন বছর আগে এই সমুদ্র বিছের অস্তিত্ব ছিল। এই বিছে সমুদ্র তলদেশে সর্ববৃহৎ শিকারি প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হত। এরা শিকার ধরার জন্য পেডিপালপস নামক তার বিশাল কাঁটাযুক্ত বাহু ব্যবহার করত। 

এর আগে, গবেষণায় জানানো হয়েছিল যে ব্যারাকুডাস বা হাঙরের বিবর্তনের অনেক আগে সামুদ্রিক বিছেরা সবচেয়ে বড় শিকারী ছিল। ইউরিপ্টেরিডের জীবাশ্ম নমুনার উপর ভিত্তি করে, গবেষকরা অনুমান করেছিলেন যে সামুদ্রিক বিছেরা তাদের লেজ ব্যবহার করে, তাদের দানাদার কাঁটাযুক্ত টিপস দ্বারা অস্ত্র তৈরি করে, শিকার ধরত। T xiushanensis হল গন্ডোয়ানা থেকে পাওয়া প্রথম মিক্সোপ্টেরিড। নানজিং ইনস্টিটিউট অফ জিওলজি অ্যান্ড প্যালিওন্টোলজির গবেষকদের এই রিপোর্ট বিজ্ঞান বুলেটিনের নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত হবে বলে জানা গিয়েছে।