সংক্ষিপ্ত
- মেহুল চোক্সির জামিনের আবেদন খারিজ করল ডমিনিকার হাইকোর্ট
- মেহুলকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে ডমিনিকা সরকার
- জামিনে পাওয়ার পর পালিয়ে যেতে পারেন মেহুল
- সেই প্রেক্ষিতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) প্রতারণা কাণ্ডে অভিযুক্ত মেহুল চোক্সির জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল ডমিনিকার হাইকোর্ট। মেহুল চোক্সিকে ইতিমধ্যেই অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে ডমিনিকা সরকার। সেখানকার জেলেই রয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার হাইকোর্টে শুরু হয় তাঁর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। আর তখনই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ডমিনিকার সঙ্গে মেহুলের কোনও যোগাযোগ নেই। তাই জামিনের পর তাঁর উপর কোনও শর্ত আরোপ করতে পারবে না আদালত। এর ফলে জামিনে থাকাকালীন যে কোনও সময় অন্যত্র পালিয়ে যেতে পারেন মেহুল। তাই তাঁর জামিনের আদেবন খারিজ করে দেয় আদালত।
প্রায় ১৩,৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মেহুল। প্রতারণার পরই ভারত ছেড়েছিলেন তিনি। ভারত থেকে পালানোর পর ২০১৮ সাল থেকে বারবুডাতে ছিলেন। ২৩ মে অ্যান্টিগা ও বারবুডা থেকে উধাও হন মেহুল। দিন দু’য়েক পরে ডমিনিকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বুধবার চোক্সিকে নিষিদ্ধ অভিবাসী ঘোষণা করে ডমিনিকা।
যদিও ভারতের কাছে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির তরফে আবেদন জানানো হলেও গত সপ্তাহে তা খারিজ করে দিয়েছিল ডমিনিকা সরকার। ভারতের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগেই মেহুলের উপর রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল ইন্টারপোল। অ্যান্টিগা সরকারও নয়াদিল্লির প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও মেহুলকে ফেরাতে রাজি হয়নি ডমিনিকা। এরপরই তাঁকে নিষিদ্ধ অভিবাসী বলে ঘোষণা করে ডমিনিকা। তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এবার তাঁকে অ্যান্টিগায় ফেরত পাঠানো হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। আর সেখান থেকেই তাঁকে ভারতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে অনুমান নয়াদিল্লির।