সংক্ষিপ্ত
অভুক্ত মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়েছে পোল্যান্ডের একমাত্র গুরুদোয়ারা। হিন্দুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এখানকার শিখরা লড়ে যাচ্ছেন শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে।
সাহায্যের হাত। ইউক্রেন থাকা মানুষদের বিশেষ করে ভারতীয়দের এখন যেটা সবথেকে দরকার। সেই কাজ করতে সুদূর জার্মানি, ব্রিটেন থেকে ভারতীয়রা ছুটে এসেছেন পোল্যান্ডে। উদ্দেশ্য একটাই আটকে পড়া কোনও ভারতীয়কে যেন অভুক্ত থাকতে না হয়, তাঁদের মাথার ওপর যেন একটা ছাদ থাকে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে Sewa Yugam-এর স্বেচ্ছাসেবকরা।
সুমিতে (Sumy) আটকে পড়ছিলেন হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়া (Indian Students)। তাদের সেখান থেকে কোনও ক্রমে বের করে এনেছে ভারত (India)। এবার সেই পড়ুয়ারা এসে পৌঁছেছে পোল্যান্ড সীমান্তে (Ukraine-Poland Border)। ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবকরা তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছে জল, খাবার। দিচ্ছেন বিশ্রামের জায়গা। এই কাজে তাদের সাহায্য করছে ভারতীয় দূতাবাস। Sewa Yugam টিমে কাজ করছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ভারতীয়রা। এরকম ২০জনকে নিয়ে চলছে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ।
এরকম নজির তুলে ধরছে পোল্যান্ডের ওয়ারশয়ের হিন্দু ভবন। প্রতিদিন প্রায় ১৫০ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে এখানকার ভারতীয়রা। দেওয়া হয়েছে শীতের কম্বল, আশ্রয়। এখানে প্রাথমিকভাবে আশ্রয় নিয়ে কেউ ফিরে যাচ্ছেন ভারতে, কেউ বা হোটেলে জায়গা খুঁজছেন। এগারো বছর আগে শুরু হওয়া এই হিন্দু ভবন এখন শরনার্থীদের আশ্রয়ের অন্যতম ভরসাস্থল। আক্ষরিক অর্থেই এখানে দেব আরাধনা করা হচ্ছে বলে জানান এখানকার সভাপতি। তাঁর মতে অতিথিই নারায়ণ।
মধ্য ইউরোপের একমাত্র গুরুদোয়ারা রয়েছে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ১৫০ জনেরও বেশি ভারতীয়, যাঁরা নিজেদের সর্বস্ব ইউক্রেনে রেখে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে এসেছেন পোল্যান্ডে। বর্ডার পেরোতে যাদের অন্তত তিনদিন শুধু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। অবশেষে পোল্যান্ডের মাটিতে মিলেছে আশ্রয়। সেই অভুক্ত মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়েছে পোল্যান্ডের একমাত্র গুরুদোয়ারা। হিন্দুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এখানকার শিখরা লড়ে যাচ্ছেন শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে।
রুশ হামলায় মৃত প্রথম ভারতীয়ের দেহ ফেরাতে মোদীর উদ্যোগ, প্রশংসা রাজীব চন্দ্রশেখরের
এদিকে, রুশ বাহিনী মারিউপোল শহর প্রায় অবরুদ্ধ করে দেখেছে। কিন্তু তারপরেও রুশ বাহিনীর আলটিমেটাম প্রত্যাক্ষান করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশাচুক ইউক্রেনস্কা প্রাভদা জানিয়েছেন, অস্ত্র সমর্পণের বিষয়ে কোনও কথা হতে পারে না। রাশিয়ান পক্ষকে সব বিষয়টি জানান হয়েছে। মারিউপোলের অধিকার ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন।
আরও পড়ুন- বয়সকালে স্মৃতিভ্রমের কারণে জটিল ব্যাধি সারাবে এই ওষুধ, নয়া গবেষণা ঘিরে বাড়ছে আশার আলো
মারিউপোল, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর। আর সেই কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়ান সেনাদের টার্গেট রয়েছে এই শহরের ওপর। এই শহরের বেশিরভাগ মানুষই রাশিয়ানভাষী। এটি একটি বন্দর শহর। মারিউপোল দখল রাশিয়াকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একটি স্থল করিডোর সুরক্ষিত করতে সাহায্য করবে। যা ২০১৪ সালে মস্কো ইউক্রেনের সঙ্গে এটিকে যুক্ত করেছিল।