সংক্ষিপ্ত
প্রকাশ্যে চিনের দালালি করা থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার প্রকাশ্যে ইমরান খান বলেন চিনকে ধন্যবাদ পাকিস্তানে বিপুল অর্থের বিনিয়োগের জন্য।
আজ বা কাল চলে যেতে পারে গদি। পিছনে হাত ধুয়ে পড়ে রয়েছে আইএসআই (ISI) ও পাকিস্তান সেনা (Pak Army)। তবু প্রকাশ্যে চিনের দালালি (support to Chinese businesses) করা থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Prime Minister Imran Khan)। শনিবার প্রকাশ্যে ইমরান খান বলেন চিনকে ধন্যবাদ পাকিস্তানে বিপুল অর্থের বিনিয়োগের জন্য। পাকিস্তান সবসময় চিনের কোম্পানিগুলির স্বার্থে কাজ করে যাবে। স্পেশাল ইকনমিক জোনে যেভাবে চিনা কোম্পানিগুলি উৎসাহ দেখিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য বলে জানান ইমরান খান।
শনিবার ইমরান খান চ্যালেঞ্জ ফ্যাশন (প্রাইভেট) লিমিটেডের মিসেস চেন ইয়ানের নেতৃত্বে একটি চিনা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও চিন শুধু অতীত বা বর্তমান সময়েই সংযুক্ত নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাধ্যমেও তারা এক সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন দুই দেশের জনগণের মূল্যবান সম্পর্ক কূটনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন যে সমস্ত চিনা বিনিয়োগকারীদের, যারা পাকিস্তানে শিল্প স্থাপন করছে, তাদের রাস্তা সংযোগ এবং ইউটিলিটিগুলির নিয়মকানুন সম্পর্কিত সমস্যাগুলি জরুরী ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। এর আগে, প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল যে চিনা ব্যবসায়ীরা গ্লাস, সিরামিক এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও উৎপাদন শুরু করতে প্রায় প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, Oppo, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতাদের মধ্যে একটি, পাকিস্তানে একটি স্থানীয় মোবাইল উত্পাদন ইউনিট এবং একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এটি শুধু বাৎসরিক স্মার্ট ফোন আমদানিতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে না বরং পাকিস্তানের প্রযুক্তির স্নাতকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শক্তিমন্ত্রী মুহাম্মদ হাম্মাদ আজহার, বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা আবদুল রাজাক দাউদ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী (এসএপিএম) ড. শাহবাজ গিল, সিপিইসি বিষয়ক এসএপিএম খালিদ মনসুর এবং চিনের রাষ্ট্রদূত নং রং সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Farm Law Repealed-২৪শে নভেম্বর কৃষি বিল বাতিলে অনুমোদন ক্যাবিনেটের
Cricket Special Train-ইডেনে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ,হাওড়া থেকে চলবে স্পেশাল ট্রেন
তবে মুখে বড় বড় কথা বললেও ইমরান খানের কার্যকালের মেয়াদ শেষের পথে, এমনই দাবি পাকিস্তানি সংবাদপত্রগুলির। সেখানে যেভাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা শুরু হয়েছে, তাতে এই কথাই স্পষ্ট হচ্ছে। একটি প্রথমসারির সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে পরিষ্কার ভাষায় লেখা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজের দায়িত্ব পালনে ও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। তাঁর আমলে পাকিস্তান ধীরে ধীরে নিজের ভবিষ্যতও হারিয়ে ফেলছে।
সম্পাদকীয়তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে "পাকিস্তানের গর্বাচেভ" বলে অভিহিত করেছে। উল্লেখ্য এই গর্বাচেভ হলেন একজন রাশিয়ান নেতা যিনি আশির দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিচ্ছেদ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। গর্বাচেভকে এমন একজন নেতা হিসাবে মানুষ দেখেছিল, যিনি প্রয়োজনীয় সবরকম সংস্কার এনে দেশকে অন্য খাতে নিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তা না করে একের পর এক সিদ্ধান্তে দেশের অধঃপতন দেখেছিলেন।
এই সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়েছে বিশ্ব পাকিস্তানকে বিশ্বাস করছে বলে মনে হচ্ছে না। পাক নেতারা যখন বিদেশে যান, তখন তাদের নগ্ন অবস্থায় তল্লাশি করা হয়, যা দেশের জন্য লজ্জার। সংবাদপত্রটি আরও দাবি করেছে ইমরান খান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তিনি নতুন পাকিস্তান, দুর্নীতিমুক্ত পাকিস্তানের মতো বিষয়গুলির কথা বলেছিলেন, কিন্তু এরপর যা হয়েছে তা পাকিস্তানের জনগণের সামনে রয়েছে।
"