সংক্ষিপ্ত

  • বিদেশে গিয়ে চাকরি করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশী মহিলারা 
  • জোর করে তাদের দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টা 
  • শ্রমিক পাচারের অভিযোগে ভারতীয় দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে
  • ডিসেম্বরে সাজা ঘোষণা করা হবে

সিঙ্গাপুরে শ্রমিক পাচারের অভিযোগে এক ভারতীয় দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে  একটি আদালত। ওই ভারতীয় দম্পতি বিনোদনমূলক দুটি ক্লাব চালাতেন। সেখানেই অবৈধভাবে বাংলাদেশী মহিলাদের আশ্রয় দিয়ে কাজে লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই দম্পতিকে এক বাংলাদেশের মহিলাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ওই ভারতীয় দম্পতির সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

অভিযুক্ত  প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচর্য রাজেশ ও মালকার সাভলাররাম অনন্তের বিরুদ্ধে শ্রমিক পাচারের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। তাঁদের দুটি বিনোদন ক্লাবে কয়েকজন  বাংলাদেশি মহিলাকে কাজে নিয়োগ করেন। কথা ছিল, বার ডান্সার হিসেবে তাঁরা কাজ করবেন। বিনিময়ে তার বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০ হাজার টাকা পাবেন। কিন্তু ওই দুটি বিনোদনমূলক ক্লাবে তাঁদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।  তাঁদের মৌখিক নির্যাতনের পাশাপাশি কথায় কথায় আর্থিক জরিমানা করা হতো।  ওই মহিলারা চাইলেও কাজ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারতেন না। 

শুধু তাই নয়, ওই বাংলাদেশী মহিলাদের প্রতিটি মুহূর্তের ওপর নজরদারি করা হতো। তাঁরা কোথায় কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, ভারতীয় দম্পতি তার ওপর কড়া নজর রাখতেন। এক কথায় বাংলাদেশী মহিলারা কাজ করতে এসে বন্দি হয়ে পড়েন। গ্রাহক খুশি হয়ে বখশিশ দিলে, সেগুলো নিতে পারতেন না। সেখান থেকেই উপরি ইনকাম হয় বার ডান্সারদের। কিন্তু ভারতীয় দম্পতি সেগুলো বন্ধ করেই খুশি থাকেননি, দুই বাংলাদেশি মহিলার বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলেও আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁদেরকে থাকার জন্য একটা ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট থেকে বের হওয়ার কোনও উপায় তাদের ছিল না। তাদের পাসপোর্টও জমা রাখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জেরায় প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, একজন বাংলাদেশী মহিলার সিঙ্গাপুরে কাজ করার অনুমতি পর্যন্ত ছিল না। 

বাংলাদেশী মহিলারা জানিয়েছেন, তাঁদের শরীর খারাপ থাকলেও কাজে যেতে হতো। এক মহিলাকে জোর করে দেহব্যবসার কাজ করাতে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু ওই মহিলা রাজি না হওয়ার তাঁকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।