সংক্ষিপ্ত
- মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত জেনারেল কাশেম সোলেমানি
- তারপরই ইরান জুড়ে উঠছে চরম প্রতিশোধের ডাক
- ক্রমে বাড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের উত্তেজনা
- এতে উঁকি দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাও
শুক্রবার সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানহানায় ইরানের রেভেলিউশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলেমানি-র মৃত্যু হয়েছে। আর তারপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের উত্তেজনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উঁকি দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাও। কারণ এই ঘটনার পরই ইরানে আমেরিকার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ইরানের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, 'অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং বোকার মতো'। টুইট করে রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি বলেন এই 'অসৎ অভিযান'-এর পরিণতিতে যা যা ঘটবে তার সব দায় আমেরিকাকেই নিতে হবে। ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে আচমকা বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল কাশেম সোলেমানি-কে হত্যা করা হয়। দেশের জাতীয় টেলিভিশনে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন ইরানের রেভেলিউনারি গার্ড।
এলিট কাদ ফোর্স-এর দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল সোলেমানি। তাঁর মৃত্যুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে 'জোরদার প্রতিশোধ'-এর ডাক দিয়েছেন রেভেলিউশনারি গার্ডস-এর প্রাক্তন কমান্ডার মহসিন রেজেই। বর্তমানে তিনি সেই দেশের একটি অত্যন্ত শক্তিশালি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সেক্রেটারি। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, শহিদ লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাশেম সোলেমানি তাঁর শহিদ ভাইদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, 'তবে আমরা আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেব'।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত শীর্ষস্থানীয় কমিটি, 'সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিল' এদিনই এই হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা ঠিক করার জন্য আলোচনায় বসছে। কাউন্সিলের মুখপাত্র কিভান কোসরাভি জানিয়েছেন, কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই 'অপরাধ'-এর তদন্ত শুরু করা হবে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেই-ও বলেছেন, 'জেনারেল সোলেমানিকে হত্যা করেছে যে অপরাধীরা তাদের জন্য চরম প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে'।
স্পষ্টতই গোটা বিশ্বই এই ঘটনার পর ইরান প্রত্যাঘাত করবে এই আশঙ্কাই করছে। সেই ক্ষেত্রে এই দুই যুযুধান দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা চরম সীমায় পৌঁছবে। সেখান থেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশ যখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে মিম বানিয়ে মজায় মেতেছে, আরেক অংশ কিন্তু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।