সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে রাতারাতি গোলাগুলিতে একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। মাইকোলাইভের আঞ্চলিক গভর্নর ভিটালি কিম বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১১ বছর বয়সী এক ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ছয় ঘণ্টা সে চাপা পড়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারী দল আরও সাতজনকে খুঁজছে।

ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিতে বৃহস্পতিবার ভোরে ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোনের মাধ্যমে এই হামলা চালানো হয়। কিয়েভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, রাজধানীর আশপাশের এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই হামলায় কেউ মারা গেছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে রাতারাতি গোলাগুলিতে একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। মাইকোলাইভের আঞ্চলিক গভর্নর ভিটালি কিম বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১১ বছর বয়সী এক ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ছয় ঘণ্টা সে চাপা পড়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারী দল আরও সাতজনকে খুঁজছে। তিনি বলেন, এস-৩০০ মিসাইলের আঘাতে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণত সামরিক বিমানকে লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করা হয়।

সোমবার বড় ধরনের হামলার সময় রাজধানী কিয়েভে অন্তত চারবার হামলা হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। পশ্চিমা নেতারা এই সপ্তাহে ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অস্ত্র। ব্রিটেন বৃহস্পতিবার বলেছে যে এটি উন্নত NASSAM অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেমের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে, যা পেন্টাগন আগামী সপ্তাহগুলিতে ইউক্রেনে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস বলেছেন যে "এই অস্ত্রগুলি ইউক্রেনকে তার আকাশকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং মার্কিন NASAMS এর সাথে তার সামগ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।" ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই সপ্তাহে বলেছে যে তাদের বর্তমান বিমান প্রতিরক্ষা কয়েক ডজন রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।

ক্রিমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে হামলার পর ইউক্রেনের ওপর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভসহ সারা দেশের অনেক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া অন্তত ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একই সঙ্গে স্থানীয় গণমাধ্যমও বলছে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে কোনও সত্যতা মেলেনি। 

আরও পড়ুন - 'অত্যাচারী নিপাত যাক' প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে ইরান, চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে রাস্তায় রাস্তায় পুড়ছে হিজাব

রুশ হামলায় অনেক জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিয়েভ ছাড়াও খমেলনিটস্কি, জাইটোমির এবং লভিভও রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। কিয়েভের মেয়র বলেছেন, রাশিয়া মধ্য কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। জেলেনস্কির অফিসের কাছেও ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়েছিল।

আরও পড়ুন - তীব্র ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলছে বিশ্ব, প্রতি চার সেকেন্ডের মৃত্যু ১ জনের- সতর্ক করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে আঘাত হানলে অন্তত ৮ জন নিহত এবং আরো ২৪ জন আহত হয়েছে। সোমবার ভোররাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগত মিসাইলের শব্দের পর কিয়েভে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।