সংক্ষিপ্ত

  • মার্কেট থেকে খাবার চুরি কেরছিলেন এক ব্যক্তি
  • বিষয়টি নজর এসেছিল অন্যান্য ক্রেতাদের
  • তারাই দোকানের নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান
  • নিম্ন আদালত ৬ মাসের জেল এবং ১০০ ইউরো জরিমানা করে

করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিত রয়েছে ইতালি। চিনের পর ইউরোপের এই দেশেই মহামারীর আকারে ছড়িয়েছিল মারণ ভাইরাস। এখনও পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা ভাল হলেও সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ইতালিতে করোনা সংক্রমণের শিকার ২ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। কোভিড ১৯ রোগে মারা গিয়েছেন  ৩০ হাজার। আর করোনা সংক্রমমে দিশেহারা এই দেশেই এবার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সেদেশের সর্বোচ্চ আদালত।

খিদের জ্বালায় কোনও ব্যক্তি যদি সামান্য খাবার চুরি করেন তবে সেটা আদৌ  অপরাধ বলে গণ্য হবে না। এমনই রায় দিয়েছে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত। রোমান অস্ট্রিকোভ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪.০৭ ইউরো মূল্যের চিজ ও সসেজ চুরির অভিযোগ উঠেছিল। ইউক্রেন থেকে আসা উদ্বাস্তু  ওই ব্যক্তি সামান্য খাবারটুকু নিয়েছিলেন একেবারে  পেটের জ্বালায়। ফলে তা আদৌ অপরাধ নয় বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই অপরাধের জন্য বিনা শাস্তিতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতিরা। 

আরও পড়ুন: আমেরিকায় ৭৫ হাজার ছাড়াল মৃতের সংখ্যা, এবার করোনা সংক্রমণের শিকার খোদ ট্রাম্পের সহযোগী

 ইউক্রেনের বাসিন্দা রোমান অস্ট্রিকোভ আদতে ভবঘুরে। জেনোয়া শহরে রাস্তাতেই বাস ওই প্রৌঢ়ের।  ২০১১ সালে ওই ব্যক্তি যখন জেনোয়া সুপার মার্কেটে দু'খানি চিজ' এবং এক প্যাকেট সসেজ পকেটে ঢুকিয়ে শুধুমাত্র পাউরুটির দাম চুকিয়েছিলেন তখন সেখানে হাজির কয়েকজন ক্রেতা স্টোরের নিরাপত্তা রক্ষীকে সে কথা জানিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে তাকে অপরাধী গণ্য করে আদালত ছয় মাসের জেল এবং ১০০ ইউরো জরিমানা করে। বিষয়টি নিয়ে সেই সময় ইতালির সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় হয়।  পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিক অর্থনৈতিক দুর্দশাকে মাথায় রেখে রায় বাতিল করে বলা হয়, মনে রাখতে হবে সভ্য দেশে যেন কোনও মানুষই অভুক্ত না থাকেন।

আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমের কারখানায় নতুন করে গ্যাস লিকের আতঙ্ক, এলজি পলিমার্স বন্ধের দাবি স্থানীয়দের

 ইউরোপের এই দেশে মাত্র ৫ ইউরোর কম মূল্যের একটা পণ্য নিয়ে তিন দফায় আদালতে সওয়াল চলার বিষয়টি নিয়ে  সমালোচনার ঝড়ও ওঠে। এর পরেই ঐতিহাসিক রায় দিল ইতালির সর্বোচ্চ আদালত। সু্প্রিম কোর্ট আগের রায় বাতিল করে জানিয়ে দিল, খিদে মেটাতে সামান্য খাবার চুরি কোনও ভাবেই একটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।