পাবলিক টয়লেটে স্বচ্ছ কাচের দেওয়ালঅদ্ভূত কাণ্ড করে বসল জাপানশৌচকর্মের সময় কি বাইরে থেকে সবাই দেখতে পাবেএই সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ কি

বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম জাপান। একইসঙ্গে বিভিন্ন উদ্ভট ভাবনা-চিন্তার দেশও বটে। আর এই দুই-এরই মেলবন্ধন ঘটেছে, জাপানের নবতম পাবলিট টয়লেট বা গণশৌচাগারগুলিতে। গণশৌচাগার সম্পর্কে মানুষের মনে যাতে কোনও স্বাস্থ্যবিধিগত বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খুতখুতানি না থাকে, তার জন্য জাপানের নতুন গণশৌচাগারগুলির দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে স্বচ্ছ কাচ দিয়ে।

'দ্য টোকিও টয়লেট প্রজেক্ট'এর অংশ হিসাবে এই নতুন পাবলিক টয়লেটদুলি স্থাপন করা হয়েছে। ১৬ জনেরও বেশি খ্যাতনামা জাপানি স্থপতি মিলে জাপানের পুরোনো গণশৌচাগারগুলি পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছেন। কাচের দেওয়ালওয়ালা টয়লেটগুলি সম্পর্কে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন এক উদ্ভাবনী শৌচাগারের নকশা তৈরি করা, যা বয়স, লিঙ্গ এমনকি শারীরিক অক্ষমতা নির্বিশেষে প্রত্যেকের জন্য ব্যবহারযোগ্য হবে। দেওয়ালগুলি স্বচ্ছ করার ভাবনা এসেছে স্থপতি শিগেরু বান-এর মাথা থেকে। সেইমতো এই গণশৌচাগারগুলির দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে সবুজ, নীল, আকাশি, হলুদ, গোলাপি এবং বেগুনি রঙের কাচ দিয়ে।

Scroll to load tweet…

কিন্তু, এখানেই একটা প্রশ্ন সবার মনেই খচখচ করে উঠছে। তাহলে কি এই টয়লেটগুলিতে শৌচকর্ম করতে গেলে বাইরের লোকেরা লোক তাকে ওই অবস্থায় দেখতে পাবে? সেটা যদি হয়, তার থেকে অস্বস্তিকর আর কিছুই হতে পারে না। জাপানি স্থপতিরা বলছেন, না সেই ভয় নেই। কারণ পাবলিক টয়লেটগুলির দেওয়ালে স্মার্ট গ্লাস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ভিতরে ঢুকে একবার দরজা লক করলেই কাঁচটি অস্বচ্ছ হয়ে যাবে। কাজেই ভিতরে নিভৃতে কাজ সারতে কোনও অসুবিধা নেই।

Scroll to load tweet…

এখনও অবধি, জাপানের রাজধানি টোকিও শহরের হারু-নো-ওগাওয়া কমিউনিটি পার্ক এবং ইয়োগি ফুকামাচি মিনি পার্ক - এই দুটি পার্কে এই শৌচাগারগুলি স্থাপন করা হয়েছে। দুটি ইউনিটেই প্রতিটি করে কিউবিকল রয়েছে।