সংক্ষিপ্ত

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত তালিকায় ঠাঁই পায়নি চিন। বেজিংয়ের সঙ্গে মুখে ভালো সম্পর্কের কথা বললেও আমেরিকার সঙ্গে আদতে সম্পর্কটা যে আদায় কাঁচকলায়, তা আরও একবার প্রমাণিত। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (US President Joe Biden) তালিকা থেকে বাদ চিন(China), রাশিয়া (Russia) ও তুরস্ক(Turkey)। নয় থেকে ১০ই ডিসেম্বর দুদিনের জন্য ভার্চুয়াল সম্মেলনে (virtual summit for democracy) আয়োজন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে যোগ দেওয়ার কথা ১১০টি দেশের (110 countries)। ভার্চুয়াল সামিট ফর ডেমোক্রেসি শীর্ষক এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে ভারত সহ একাধিক দেশ। তবে হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত তালিকায় ঠাঁই পায়নি চিন। বেজিংয়ের সঙ্গে মুখে ভালো সম্পর্কের কথা বললেও আমেরিকার সঙ্গে আদতে সম্পর্কটা যে আদায় কাঁচকলায়, তা আরও একবার প্রমাণিত। 

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই তাইওয়ান নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই বেজিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল ওয়াশিংটনের। সেখানে তাইওয়ান ইস্যু যেমন জায়গা পেয়েছে, তেমনই উঠে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবাধিকার রক্ষার প্রসঙ্গও। বৈঠকে তাইওয়ানের কাছে চিনের সামরিক তৎপরতা, মানবাধিকার রক্ষা পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে নানা দ্বিমত তৈরি হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। সেই টানাপোড়েন যে এখনও মেটেনি, তা বোঝা যাচ্ছে। 

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় নেই রাশিয়াও। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি তালিকা অনুসারে এই তথ্য মিলেছে। এই তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং ইরাক ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রদেশগুলি রয়েছে।

চিনকে চাপে রেখে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রকাশিত অংশগ্রহণকারীদের একটি তালিকা অনুসারে বাইডেন প্রশাসন ডিসেম্বর মাসে এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ক্ষুব্ধ হতে পারে চিন, কারণ চিন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটিকে তার অধীন অঞ্চল হিসাবে দেখে।

Imran Khan- নিজের গদি টলমল, তাও খুল্লামখুল্লা চিনের দালালি ইমরান খানের

রয়টার্সের এক রিপোর্টে লেখা হয়েছে এই ধরণের সম্মেলনে মার্কিন বিদেশনীতির পরীক্ষা হতে চলেছে, কারণ ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম বিদেশনীতির ঘোষণায় বাইডেন বলেছিলেন চিনের মতো শক্তির মুখোমুখি হতে সবরকম ক্ষমতার প্রয়োগ করবে আমেরিকা। এবার তাহলে প্রকাশ্যে শুরু হতে চলেছে আমেরিকা চিন দ্বন্দ্ব? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা অন্তত তেমনই আশঙ্কা করছেন। 

দ্রুত এফ-১৬ জেট পাঠান- চিনের হাত থেকে বাঁচতে আমেরিকার কাছে আর্জি তাইওয়ানের

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাতিয়ার করে চিনের বিরুদ্ধে চোখ রাঙাচ্ছে তাইওয়ান। তাই আত্মরক্ষার হাতিয়ার মজুত করতে চাইছে তাইওয়ান। পাশে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। তাইপেইতে পূর্ব চুক্তি মতো এফ ১৬ ফাইটার জেট যাতে দ্রুত সরবরাহ করা হয়, তার আর্জি জানিয়েছে তাইওয়ান। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছেন। কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই যুদ্ধবিমান পাঠানো যায়, তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২২টি যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু তাইওয়ান চাইছে সেই বরাতের গতিবৃদ্ধি হোক। মূলত এফ ১৬ ফাইটার জেট পাঠাতে ১০ বছরের সময় চেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে চিনা উস্কানিতে অত দেরী করতে চাইছে না তাইওয়ান বলে মার্কিন প্রশাসন সূত্রের খবর।

"