সংক্ষিপ্ত
এবার এক পাকিস্তানি মহিলাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানকে। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রসঙ্গ তুলতেই রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চকে অপব্যবহার করার অভিযোগ আনলেন কাজল ভাট (Kajal Bhat)।
পাকিস্তানকে, (Pakistan) জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) 'অবৈধভাবে দখল করা সমস্ত এলাকা অবিলম্বে খালি' করার আহ্বান জানালো ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) আরও একবার কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করার জন্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে, ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগ করল ভারত। আর পাকিস্তানকে তুলোধোনায় নেতৃত্ব দিলেন খোদ কাশ্মীরেরই এক মহিলা।
মঙ্গলবার, ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে, 'প্রতিরোধমূলক কূটনীতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ' বিষয়ে খোলা বিতর্কের সময় রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রম (Muneer Akram) ফের জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার কথা তোলেন। এরপরই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর কাজল ভাট (Kajal Bhat) পাল্টা আক্রমণে ধুয়ে দেন পাকিস্তানকে। তিনি জানান, পাকিস্তানের প্রতিনিধি আসলে তাঁর নিজের দেশের মানুষের বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুরবস্থা থেকে সারা বিশ্বের মনোযোগ সরানোর জন্য, রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) দেওয়া প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালাচ্ছেন। পাকিস্তানে জঙ্গিরা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ায়।
কাশ্মীরি মহিলা কাজল ভাট সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত বরাবর দৃঢ় এবং কঠোর পদক্ষেপ নেবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সহ সমস্ত প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় ভারত। তার জন্য সিমলা চুক্তি (Simla Agreement) এবং লাহোর ঘোষণা (Lahore Declaration) মেনে সমস্যাগুলি দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে প্রস্তুত ভারত। তবে, সন্ত্রাস, শত্রুতা ও হিংসামুক্ত পরিবেশ থাকলে তবেই কোন অর্থবহ আলোচনা হতে পারে। এমন অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব পাকিস্তানেরই। সেই পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত, ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েই যাবে।
এখানেও থামেননি কাজল ভাট। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি সকলেই জানে, সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া, সহায়তা করা এবং সক্রিয়ভাবে সমর্থন করার বিষয়ে পাকিস্তানের একটি 'প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস এবং নীতি' রয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা নীতিগতভাবে সন্ত্রাসবাদীদের প্রকাশ্যে সমর্থন, প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন এবং অস্ত্র সাহায্যকারী হিসাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষিদ্ধ করা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার নজিরবিহীন রেকর্ড রয়েছে ইসলামাবাদের (Islamabad)।