সংক্ষিপ্ত

 

  • কিম জং উনের ভাই সিআইএ-র চর ছিলেন
  • এমনই দাবি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের
  • রহস্যজনক মৃত্যু হয় কিম জং নামের
  • শুরু হল আরেক রহস্যের

এখন নাহয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন টসছেন। কিন্তু এ বছর আগেও রোজই প্রায় আমেরিকাকে ব্য়ালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার হুমকি দিতেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জয় উন। আর তারই সত ভাই কিম জং নাম কি না ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র চর! এমনই দাবি প্রথম সারির মার্কিন সংবাদপত্র 'দ্য ওয়াল স্ট্রিট জর্নাল'-এর।

পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে কিম জং নাম-এর সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র যোগাযোগের বিষয়ে বেশ কিছু নথি তাদের হাতে এসেছে। তাতে অনেক ধোঁয়াশা থাকলেও নামের সঙ্গে সিআইএ-যোগের ভালরকম ইঙ্গিত মিলেছে। তাদের দাবি, চিনের দক্ষিণ উপকূলের ম্যাকাও থেকেই কিম নাম সিআইএ-র সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সিআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

এর আগে সাংবাদিক অ্যানা ফিফিল্ড তাঁর 'দ্য গ্রেট সাকসেসর' বইতে একই দাবি করেছিলেন। তার বক্তব্য, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় হ্যান্ডলারদের সঙ্গে দেখা করতেন কিম নাম। সিঙ্গাপুরে হোটেলের লিফ্টের সিসিটিভি ফুটেজে এক এশীয় সিআইএ-র কর্মীর সঙ্গে তাঁর ছবিও রয়েছে।

সিআইএ এখনও পর্যন্ত এই দাবি নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে জীবনের বেশির ভাগটাই দেশের বাইরে কাটানো কিম নামের পক্ষে উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য কতটা সিআইএ-কে জানানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল, সেই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সামনে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল কিম জং নামের। তদন্তচে জানা গিয়েছিল ভিএক্স সিন্থেটিক কেমিক্যাল ব্যবহার করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আঙুল উঠেছিল কিম জং উনের দিকেই। কিন্তু কখনই তা প্রমাণ করা যায়নি। অভিযোগ অস্বীকার করেছিল পিয়ংইয়ং-ও।