সংক্ষিপ্ত
১৫ জুন ২০২০, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ভারত ও চিনের সেনারা। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্র ও পিচ কালো অন্ধকারেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের সেনা বাহিনী। সেনা সূত্রের খবর গভীর রাতে হয়েছিল সেই সংঘর্ষ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেজিং দেশের চার সেনাকে বিশেষ সম্মান দিয়েছিল।
২০২০ সালে ১৫ জুন ভারতীয় ও চিনা সেনাদের (India And PLA) মধ্যে ভয়ঙ্কর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Vally)। তারপরই সরকারিভাবে সামনে আসে পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় লাদাখে চিনা সেনার আগ্রাসন। সেই সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনার প্রাণ গিয়েছিল। কিন্তু পিপিলস লিবারেশন আর্মি বা চিনের কতজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল সেই সংঘর্ষে এতদিন পরেও তা স্পষ্ট করে জানায়নি চিন সরকার। এখনও পর্যন্ত গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করেগেছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে সেই সংঘর্ষে চিনের ৩৮ জন সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে বরফঠান্ডা গালওয়ান নদীর (Galwazn River) জলে ডুবে যাওয়ার কারণে।
১৫ জুন ২০২০, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ভারত ও চিনের সেনারা। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্র ও পিচ কালো অন্ধকারেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের সেনা বাহিনী। সেনা সূত্রের খবর গভীর রাতে হয়েছিল সেই সংঘর্ষ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেজিং দেশের চার সেনাকে বিশেষ সম্মান দিয়েছিল। বলা হয়েছিল চার জন সেই সময় সংঘর্ষে মারা গিয়েছিল। কিন্তু একটি দল মনে করে বেজিং-এর সরকারি রিপোর্টের তুলনায় আসল মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্র দ্যা ক্ল্যাক্সনের একটি তদন্তকারী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ১৫-১৬ জুনের মধ্যে গালওয়াল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ শেষে রণক্লান্ত সেনারা যখন প্রবল ঠান্ডা আর অন্ধকারে গালওয়ান নদী পাল হয়ে ফিরছিল সেই সময় ৩৮ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল। জলে ডুবে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া গবেষকদের তথ্য ও চিনা ব্লগারদের থেকে তথ্যের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চিনার মূল ভূখণ্ডের নাগরিকদের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় গালওয়ান সম্পর্কিত অধিকাংশ তথ্যই বেজিং সরিয়ে নিতে বাধ্য করে নাগরিকদের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনারা গালওয়ান উপত্যকায় জোর করে দখল করে থাকা চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। চিনা সেনাদের নেতৃত্বে ছিল কর্নেল কিউ ফাবাও। তার নেতৃত্বে ছিল ১৫০ জন চিনা সেনা। ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করে চিনা সেনারা ভারতীয়দের ওপর আক্রমণ করেছিল। পাল্টা ভারতীয় সেনারাও রুখে দাঁড়িয়েছিল। চিনা কর্নেলকে ঘিরে ফেলেছিল ভারতীয় সেনারা। সেই চিনা সেনারা আক্রামণ প্রতিহত করতে আসে। তখন ৩ চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে। তারপরই চিনা সেনারা পিছু হাঁটতে শুরু করে।
সেই সময় হঠাৎই গালওয়ান নদীর জল বেড়ে যায়। তাতেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত চিনা সেনারা তলিয়ে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে সেদিন গালওয়ানে কী হয়েছিল তার অনেকটাই লুকিয়ে রাখতে চাইছে বেজিং। গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে চিন যা বলেছিল তা পুরোটা গল্প বলেও দাবি করেছে প্রতিবেদনের লেখক।