সংক্ষিপ্ত

কাবুলে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে বিশেষ সেল গঠন করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সেই সেলের আধিকারিকদের কাছে ৫দিনে ২০০০টি ফোন এসেছে উদ্ধার করা হোক, এই বার্তা নিয়ে।

আফগানিস্তান দখল করার পরই স্বমূর্তি ধারণ করতে শুরু করেছে তালিবান। একাধিক ফতোয়া জারি করা হয়েছে সেদেশে। মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ছেলেদের উপরও বিভিন্ন ফতোয়া জারি করা হয়েছে। আর তা না মানলেই চলছে অকথ্য অত্যাচার। দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই দেখা মিলছে বন্দুকধারী তালিবান যোদ্ধার। 

এদিকে, কাবুলে (Kabul) আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে বিশেষ আফগানিস্তান সেল গঠন (Afghanistan special cell) করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। সেই সেলের আধিকারিকদের কাছে ৫দিনে ২০০০টি ফোন (2,000 SOS calls) এসেছে উদ্ধার করা হোক, এই বার্তা নিয়ে। কাতর আর্তনাদে ভরছে প্রতিটি ফোন। কোনও ভাবে যেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক তাঁদের উদ্ধার করে, এই আবেদন প্রত্যেকের। 

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে ছয় হাজারেরও বেশি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে এবং আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ১২০০টি ইমেলের উত্তর দিয়েছে। কাবুলে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রক একটি বিশেষ আফগানিস্তান সেল গঠন করেছে। 

ভারত রবিবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর C-17 বিমানের মাধ্যমে ১০৭ জন ভারতীয় নাগরিক সহ ১৬৮ জন যাত্রীকে গাজিয়াবাদে হিনডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণ করে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট ৮৭জন ভারতীয়দের নিয়ে দিল্লিতে অবতরণ করেছে। এখানে আসা যাত্রীদের প্রথমে কোভিড আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে।

বিমানটি হিনডনে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা আগে টুইট করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ও ন্যাটো বিমানের মাধ্যমে গত কয়েক দিনে কাবুল থেকে দোহায় সরিয়ে নেওয়া ১৩৫ জন ভারতীয়কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে দোহা থেকে দিল্লি ফেরত পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি সূত্র জানায়, আফগানিস্তানে আটকে থাকা নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতকে কাবুল থেকে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।