সংক্ষিপ্ত
পুলিশ অফিসারের বিকৃত মানসিকতার শিকার বহু মহিলা। হোটেলের ঘরে, কোনও ফ্ল্যাটে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখত ওই প্রাক্তন পুলিশ অফিসার নীল করবেল।
রক্ষকই ভক্ষক। পুলিশ অফিসারের বিকৃত মানসিকতার শিকার বহু মহিলা। হোটেলের ঘরে, কোনও ফ্ল্যাটে ক্যামেরা (spy cameras) লুকিয়ে রাখত ওই প্রাক্তন পুলিশ অফিসার নীল করবেল (Neil Corbel)। ওই ব্যক্তি লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসার (former Met Police counter-terrorism officer) ছিল। তার এহেন কাজে মাথায় হাত তদন্তকারীদের।
মূলত হোটেলের ঘরে লুকিয়ে মডেলদের নগ্ন ছবি তুলত ওই ব্যক্তি। এজন্য ঘরগুলিতে সে একটি ডিজিটাল ক্লক ব্যবহার করত। ওই ঘড়ির মধ্যেই লুকিয়ে রেখেছিল স্পাই ক্যামেরা। মডেলরা ওই ঘরে পোশাক পরিবর্তন করতে গেলেই তাদের নগ্ন ছবি উঠত ক্যামেরায়।
পুলিশ অফিসারের পরিচয় লুকিয়ে সে নকল ফটোশুটের আয়োজন করত। সেখানে মডেলদের নিয়ে ফটোশুট করা হত। এরপর পোশাক বদলানোর নামে স্পাই ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলত সে বলে অভিযোগ। শুধু হোটেলই নয়, এরকম ফটোশুটের আয়োজন হত বিভিন্ন ফাঁকা ফ্ল্যাটেও। সেখানেও একই রকম অপরাধ করে বেড়াত ওই ব্যক্তি।
এক মডেলের সন্দেহ হওয়াতে সে ডিজিটাল ঘড়িটি দেখতে যায়। তখনই দেখা যায় তাতে স্পাই ক্যামেরা বসানো। ৪০ বছর বয়েসী ওই প্রাক্তন পুলিশ অফিসারকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হয় তাকে। চৌঠা অক্টোবর তারা সাজার শুনানি হবে। তার কাছ থেকে পাওয়া জবানবন্দিতে জানা গিয়েছে, সে টিস্যু বাক্স, ফোনের চার্জার, এয়ার ফ্রেশনার ও কাঁচের মধ্যে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখত।
রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে জানেন, মজার প্রশ্নে হোঁচট খাচ্ছেন ৯৯ শতাংশ মানুষ
মৃত্যুর পরের এক ঘন্টায় দেহের সাথে কী কী হয়, না শুনলে বিশ্বাস করবেন না
এভাবে প্রায় ৫১ জন মহিলার নগ্ন ছবি তার কাছে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারমধ্যে ১৯জনকে শনাক্ত করা যাচ্ছে খুব ভালো ভাবেই। এই ১৯জন করবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। নিজের দোষ স্বীকার করেছে করবেল। প্রসিকিউটর বাবাতুন্ডে আলাবি বলেন, একজন ছাড়া আর কোনও মডেলের ভিডিও মেলেনি। ওই মডেল যদিও অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ে রাজি হননি। তবে তিনি বুঝতে পারেননি যে রুমে অন্য লুকানো ক্যামেরা আছে।