সংক্ষিপ্ত

  • হিউস্টনে 'হাউডি মোদী' সম্মেলনে মোদী- ট্রাম্প বন্ধুত্বের নিদর্শন
  • ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে কার্যত ভোটের প্রচার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর
  • সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে একজোট হয়ে কড়া বার্তা দুই রাষ্ট্রনেতার
     


'অব কি বার, ট্রাম্প সরকার।' ২০১৪ সালে নিজের হিট নির্বাচনী স্লোগানকেই ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচারের কাজে লাগিয়ে দিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। হিউস্টনে 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠান থেকেই ২০২০ সালের আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের সামনে ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে সন্ত্রাসদমনের মতো ইস্য়ুতে ফের একবার ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিলেন ট্রাম্প। 

'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানের আগাগোড়াই মোদী এবং ট্রাম্পের  মধ্য পারষ্পরিক সম্মান এবং আন্তরিক সম্পর্কের ছবিই ফুটে উঠেছে। যা ভারত- আমেরিকা সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বলেই কূটনৈতিক মহলের মত। রবিবারের অনুষ্ঠানে হাত ধরে গোটা এনআরজি স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন। আর এই মঞ্চকেই ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করার কাজটা সেরে নেন নরেন্দ্র মোদী। 

আরও পড়ুন- 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠে প্রধানমন্ত্রী, জিতে নিলেন কয়েক হাজার হৃদয়

দুই রাষ্ট্রনেতাই সন্ত্রাসদমন, বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে সহমত পোষণ করেন। ভাষণ দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট পোডিয়াম ব্যবহার না করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত এবং আমেরিকার পতাকা লাগানো মঞ্চকেই ভাষণ দেওয়ার জন্য বেছে নেন। যা বুঝিয়ে দেয়, বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে ঠিক কতখানি গুরুত্ব দেয় আমেরিকা। ব্যক্তিগতভাবেও ভারতের প্রতি তিনি কতখানি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন,  তাও বুঝিয়ে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 
ভাষণ রাখতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, 'ভারত এবং আমেরিকা তাঁদের সাধারণ নাগরিকদের ইসলামিক সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে দুই দেশেরই সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করতে হবে।'

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরেই নিজের বক্তব্যেও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া মনোভাবই বুঝিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী। নাম না করে আক্রমণ করেন পাকিস্তানকেও। তাঁর বক্তব্যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টিও উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, '৯/১১ হামলা হোক বা ২৬/১১ মুম্বই হামলা। সব হামলার চক্রীরা কোথাকার ছিল? সন্ত্রাসবাদী এবং যারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দিচ্ছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার সময় এসে গিয়েছে।' ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারত যা করেছে তাতে এমন কিছু মানুষের অসুবিধা হচ্ছে যাঁরা নিজেদের দেশটাকেই ঠিকমতো সামলাতে পারেন না। এঁরা  শান্তি চান না।' 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য সন্ত্রাসদমন নিয়ে কথা বললেও কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেননি। কিন্তু তিনি সন্ত্রাসের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- সহ ভারতীয় প্রতিনিধিরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন।