সংক্ষিপ্ত
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুসারে, 2013 BO76 নামক গ্রহাণুটি বৃহস্পতিবার সকালে ৫,১১০,০০০ কিমি দূরত্বে ছিল। এটি নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে পৌঁছাবে।
শেষের সেদিন কি এমনই ভয়ঙ্কর হবে? বৃহস্পতিবারই (Thursday) নাকি পৃথিবীতে (Earth) আছড়ে পড়তে চলেছে একটা স্টেডিয়ামের সমান বিশাল গ্রহাণু (stadium-sized asteroid)। নাসা (NASA) জানাচ্ছে 2013 BO76 নামের গ্রহাণুটি ২৫৯ মিটার বা ৮৫০ ফুট চওড়া। এটা নাকি একটা স্টেডিয়ামের মত বড় (largest asteroid to come across)! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানাচ্ছে এই সপ্তাহের শুরুতে পৃথিবী থেকে কয়েকটি ছোট গ্রহাণু উড়ে যাওয়ার পরে, এই মাসে এটি পৃথিবীর কাছাকাছি অবতরণ করা বৃহত্তম গ্রহাণু হতে চলেছে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুসারে, 2013 BO76 নামক গ্রহাণুটি বৃহস্পতিবার সকালে ৫,১১০,০০০ কিমি দূরত্বে ছিল। এটি নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে পৌঁছাবে। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন এই দূরত্ব মহাকাশ বা গ্যালাক্সি দূরত্বের তুলনায় বেশ কম। যদি দুর্ভাগ্যবশত, গ্রহাণুটি তার কক্ষপথ থেকে সামান্য বিচ্যুত হয়, তাহলে এটি পৃথিবীর জন্য একটা বড় ক্ষতি নিয়ে আসতে চলেছে। আরও জানা গিয়েছে গ্রহাণুটি ৪৯,৫১৩ কিমি / ঘন্টা বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। যা শব্দের গতির চেয়ে ৪০ গুণ বেশি। এই ধরনের গতিতে যদি কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ে, তবে গোটা গ্রহটাই ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে।
এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসেই নাসা জানিয়েছিল তিনটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ (make close approach to Earth) দিয়ে যাবে। তাদের মধ্যে একটি আইকনিক আর্ক ডি ট্রাইমফের মতো প্রায় বিশাল। এটি ১৫৪ ফুট চওড়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 2022 CF3 নামে, বৃহত্তম ধূমকেতুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ওপর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।
গ্রহাণু তিনটির মধ্যে বৃহত্তম গ্রহাণুটি ১.৫ মিলিয়ন মাইল দূরত্ব রেখে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। এটি প্রতি ঘন্টায় মাত্র নয় হাজার মাইল বেগে ভ্রমণ করছে বলে জানা গেছে। এই গ্রহাণুর কোনটিকেই বড় শিলা বলা যাবে না। তবে আশা করা হচ্ছে এর কোনটিই পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খাবে না।
অন্য দুটি শিলার নাম দেওয়া হয় 2020 DF এবং 2022 CF1। গ্রহাণু 2020 DF পৃথিবী থেকে ৯৩৩,০০০ মাইল দূরে থাকবে ও সেখান থেকেই পেরিয়ে যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে গত জানুয়ারিতে পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যায় এক কিলোমিটার আকৃতির গ্রহাণু।