সংক্ষিপ্ত

গত তিরিশ বছর ধরে অবিরাম কাজ করে চলেছে নাসার হাবল স্পেশ টেলিস্কোপ। একাধিক আকর্ষণীয় ছবি তুলেছে এটি। মহাবিশ্বের একাধিক আশ্চার্যজনক ঘটনার সাক্ষী রয়েছে এই টেলিস্কোপ।

একটি অবাক করা ছবি শেয়ার করল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা বা নাসা। যা দেখে বিস্ময় হতবাক হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই সেই ছবিটির সঙ্গে তুলনা করছেন  মানুষের রেগে যাওয়া লাল চোখের। কিন্তু তারপরেও বহু নেটিজেনটি ছবিটি দেখে মোহিত হয়ে গিয়েছে। ছবিটি হল whirlpool galaxyর। যা M51 নামেও পরিচিত মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে। 

গত তিরিশ বছর ধরে অবিরাম কাজ করে চলেছে নাসার হাবল স্পেশ টেলিস্কোপ। একাধিক আকর্ষণীয় ছবি তুলেছে এটি। মহাবিশ্বের একাধিক আশ্চার্যজনক ঘটনার সাক্ষী রয়েছে এই টেলিস্কোপ। সেই টেলিস্কোপের তোলা whirlpool galaxyর ছবি মুগ্ধ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার বাসিন্দাদের। টুইটারে নাসা whirlpool galaxyর ছবি পোস্ট করেছে। ক্যাপশনে লিখেছে, 'আমরা গোল গোল হয়ে ঘুরছি... চল যাই whirlpool galaxyতে, যার বাঁকানো হাত ডাকছে। সেখানের তারার রং গোলাপি। আর তারার ক্লাস্টারের উজ্জ্বল নীল। '

এই অবাক করা ছায়াপথের ছবি তুলেছে হাবলের উন্নতমানের ক্যামেরা। ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই লাইক করেছেন আর শেয়ার করেছেন। এক নেটিজেনতো বলেছেন, এই গ্যালাক্সির ছবি সঙ্গীত তৈরি করেছে। অনেকেই বলেছেন এটি দারুন দেখতে। এটি রীতিমত মনকাড়া একটি দৃশ্য। 

নাসার প্রেস নোট অনুসারে, এই গোল গোল ছায়াপথ whirlpool galaxy বা M51 নামেও পরিচিত । ঘূর্ণায়মান বাহুগুলি হল নক্ষত্রের দীর্ঘ পথ আর ধুলিকণা আর গ্যাস। এই গ্যালাক্সিতে হাইড্রোজেন গ্যাস সঙ্কুচিত হয়ে নতুন নতুন তারা ক্লাস্টার গঠন করেছেন। বলা হয়েছে গোলাপি তারাগুলি পুরনো। আর নীল রঙের তারাগুলি তুলনায় অনেকটাই নতুন। হলুদ রঙের তারাগুলি তুলনায় আরও প্রাচীন। পৃথিবী থেকে ৩১ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই গ্যালাক্সি বা নক্ষত্র পথ। 

নাসার বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে ভিনগ্রহীদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য একজন নগ্ন মহিলা ও পুরুষের হ্যালো পিক্সেলযুক্তি চিত্র পাঠানোর মাধ্যমে অন্যা গ্রহের প্রাণ রয়েছে কিনা তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। গত ১৫০ বছর ধরেই অন্য গ্রহের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই ব্যার্থ হতে হয়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের। তাই এবার  এই অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিকন ইন দ্যা গ্যালাক্সি (BITPG) নামে পরিচিত এই প্রকল্প- যা মহাকাশের অন্যান্য সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে চায়। ভিনগ্রহীদের আমন্ত্রণ জানায়। এই প্রকল্পের অধীনেই মহাকাশে নগ্ন মানুষের ছবি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পিক্সেলযুক্ত ছবি ছাড়াও বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষ ও ডিএনএ-র চিত্রায়ণও এই প্রকল্পের মধ্য়ে রেখেছেন। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন একটি বাইনারি কোডেড বার্তা সম্ভবত এলিয়ানরা বুঝতে পারবে।