সংক্ষিপ্ত
লকডাউনের পথে যায়নি তাইওয়ান
অত্যাধিক পরীক্ষা করেনি
প্রথম থেকেই হস্তক্ষেপ করেছিল নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবনে
করোনা মোকাবিলায় সফল আরও এক দেশ তাইওয়ান
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন করে এক জনেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি তাইওয়ানে। এখনও পর্যন্ত এই দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যের সংখ্যা মাত্র ৬। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৫। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেগেছেন ১৬৬জন। কিন্তু এক দেশেটি চিনের প্রতিবেশী দেশগুলির অন্যতম। আর চিনের সঙ্গে যোগাযোগও সবথেকে বেশি। ২০ কোটিরও কিছু বেশি জনসংখ্যার এই দেশে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষই চিনের বিভিন্ন প্রদেশে কর্ম বা ব্যবসা সূত্রে যাতায়াত করে। তাই একটা বড় প্রশ্ন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কী করে সফল হল এক দেশ।
সূত্রের খবর তাইওয়াল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল জুনায়ারি থেকে। কারণ চিনে জানুয়ারি থেকেই এর রোগের পাদুর্ভাব বাড়তে থাকে। তাই প্রতিবেশী রাজ্য হওয়া সেই সময় থেকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে শুরু করেছিল এই ছোট্ট দেশটি। অথচ সবথেরে বেশি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রীতিমত নজর কেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই দেশটি সেই পথে হাঁটেনি। আবার ভারত বা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির মত লকডাউনেরও পথও এড়িয়ে গেছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রেখেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত লড়াই করে চলেছে চিনের এই প্রতিবেশী দেশ। তবে দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ায় কিছুটা সুবিধে পেয়েছিল তাইওয়ান। তেমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর তাইওয়ানের প্রথম পদক্ষপ হিসেবে প্রথমেই সিল করে দিয়েছিল চিনের সমস্ত বর্ডার। দ্বিতীয় পদক্ষেপ ছিলে বিমান পরিষেবা চালু রাখলেও চিন ফেরত নাগরিকদের বিমান বন্দর থেকেই বাধ্যতামূল স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল। তৃতীয় পদক্ষেপ চিনে যখন মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল তখন বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে চিনে যতায়াতকারী সমস্ত নাগরিকদের তথ্য গোটা দেশেই বন্টন করা হয়েছিল। তাঁরা যেখানে যেখানে যেতেন সেখানেই প্রথম দফায় তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হত। পাশাপাশি আক্রান্তের পরিবারের কোয়ারেন্টাইনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। তাইওয়ান প্রশাসন করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নাগরিকদের সামাজিক জীবন স্বাভাবিক রেখেছিল। তবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করেছিল। কোন নাগরিক কখন কোথায় যাচ্ছে আর তাঁর করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা সর্বদা নখদর্পনে রেখেছিল।
আরও পড়ুনঃ হাজার টাকার বিনিময় মাত্র ১০ মিনিটেই করোনা নির্ণয়, নতুন টেস্ট কিট তৈরি কেরলের সংস্থায় ...
আরও পড়ুনঃ ২৮ না ১৪ কত দিনের কোয়ারেন্টাইন উপযুক্ত, কী মনে করছে করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল কেরল ...
তাই বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গোটা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উল্কা গতিতে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তখন নীবরে থেকে তাইওয়ান প্রশান করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে এক নিজস্ব পদ্ধতিতে লড়াই চালিয়ে গেছে।